Advertisement
কলকাতা

লালন শেখের মৃত্যু-তদন্তে বগটুই গ্রামে সিআইডি, রেকর্ড করা হল স্ত্রী রেশমার বয়ান

সিআইডি রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরে গিয়ে বৃহস্পতিবার থেকেই লালন শেখের রহস্য-মৃত্যুর তদন্ত শুরু করেছে।বীরভূমের বগটুই গ্রামে শুক্রবার তদন্তকারীদের দল পৌঁছায়। মৃত লালনের বাড়ি সেখানেই। খবর সিআইডি সূত্রে,বগটুইয়ে গ্রামে ১০ জনকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন লালন।  শুক্রবার রেকর্ড করা হয় তার স্ত্রী রেশমা বিবির বয়ানও।বগটুই থেকে সিআইডি আধিকারিকরা বিকেল ৩টে নাগাদ বেরিয়েছেন।

সিআইডি আধিকারিকরা শুক্রবার বগটুই গ্রামে। লালন মৃত্যু তদন্তকারী অফিসাররাও তাদের সঙ্গে ছিলেন। তদন্তকারীরা লালনের পৈতৃক বাড়িতে গিয়ে রেশমার সঙ্গে কথা বলেন। ভিডিওগ্রাফারাও সিআইডি আধিকারিকদের সঙ্গে তাদের বাড়িতে যান।লালনের স্ত্রী আগেই দাবি করেছেন, সিবিআই লালনকে ‘মেরে ফেলেছে’। ঘটনার রাতে রামপুরহাট হাসপাতালে কাঁদতে কাঁদতে রেশমা বলেছিলেন, ‘‘সিবিআই আজ আমার স্বামীকে গ্রামে নিয়ে এল। সিবিআইই মেরে দিল ওঁকে।’’

জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে,স্বামীর মৃত্যুর পর রেশমা যে তিন পাতার অভিযোগ দায়ের করেছেন, তার ছত্রে ছত্রে সিবিআই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে নালিশ রয়েছে। স্ত্রীর দাবি, সিবিআইয়ের ডিআইজি, এসপি এবং এক সিবিআই আধিকারিকের ‘নির্দেশে’ তাঁর স্বামীকে খুন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে, হুমকি ফোন, মারধর, বড় মাথাদের নাম বলানোর জন্য জোর করা— এ সব অভিযোগও করেছেন তিনি।

গত ২১ মার্চ রাতে তৃণমূল নেতা তথা রামপুরহাটের বড়শাল পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখের খুনের পরেই বগটুই গ্রামে কুপিয়ে-পুড়িয়ে মারার অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনাতেও অন্যতম অভিযুক্ত লালন। রেশমার দাবি, ভাদুর ভাইয়েরাই তাঁর স্বামীকে ফাঁসিয়েছেন। এই সমস্ত অভিযোগের তদন্তে নেমেছেন সিআইডি আধিকারিকেরা।

সিআইডি ইতিমধ্যেই বগটুই হত্যাকাণ্ডে আর এক অভিযুক্ত তথা ভাদুর ভাই জাহাঙ্গির শেখকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। লালনের মতো জাহাঙ্গিরও সিবিআই হেফাজতে রামপুরহাটের অস্থায়ী ক্যাম্প অফিসে ছিলেন। তদন্তকারীদের দাবি, সোমবার লালনের মৃত্যুর দিন জাহাঙ্গির ক্যাম্পেই ছিলেন। তাঁর থেকে কিছু সূত্র মিলতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Adblock Detected

Please Turn Off Your Ad Blocker.