তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই মুহূর্তে রয়েছেন দুবাইতে। তবে দেশে না থাকলেও তাঁকে নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে। দক্ষিণ কলকাতা জুড়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবির সঙ্গে ‘নতুন তৃণমূল’ হোর্ডিং। এখন এর জবাব চাইছে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যান্য নেতারা।
দক্ষিণ কলকাতায় যে হোর্ডিং পড়েছে, তাতে অভিষেকের ছবি সহ লেখা রয়েছে,”আগামী ছয় মাসের মধ্যে সামনে আসবে নতুন তৃণমূল। ঠিক যেমন সাধারণ মানুষ চায়।” দু’টি সংগঠনের নামে ওই হোর্ডিং দেওয়া হয়েছে। ওই দুই সংগঠনের সভাপতি কুমার সাহা বলেছেন, ‘‘অভিষেককে আলাদা ভাবে নেতা হিসাবে তুলে ধরার কোনও প্রয়োজন নেই। তিনি নেতা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত। আমরা তাঁকে ভালবাসি। তিনি দলে স্বচ্ছতার কথা বলেছেন। তাই পোস্টার দিয়েছি। এ বার ১০০টি হোর্ডিং দিয়েছি। আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি নিয়েও আমরা পোস্টার দিয়েছি।’’
এপ্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘ওই হোর্ডিং তো দলের নয়। উৎসাহী কেউ করে থাকতে পারেন। অভিষেকের বক্তৃতা থেকে উদ্ধৃতি নেওয়া হয়েছে। কাউকে তুলে ধরার কথা অর্থহীন। মমতাদির নেতৃত্বে, অভিষেকের সেনাপতিত্বে তৃণমূল কংগ্রেস চলছে।’’ তবে এই সব বিতর্ক চলাকালীন দেশে নেই তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সস্ত্রীক দুবাইতে গিয়েছেন চোখের চিকিৎসার জন্য। চলতি সপ্তাহেই তাঁর শহরে ফেরার কথা।
রবিবার সকালেই দুবাই গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ওইদিনই রাত ১২টায় স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে তিনি একটি ফেসবুক লাইভ করেন। সেখানে অভিষেক বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। তার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই দক্ষিণ কলকাতায় ওই হোর্ডিং পড়তে শুরু হয়। তৃণমূল শিবিরের একাংশের ধারণা, দুবাই থেকে ফিরে অভিষেক ওই বিষয়টি স্পষ্ট করলেও করতে পারেন। তবে এব্যাপারে নিশ্চিত ভাবে কেউই কিছু বলতে পারছেন না। তবে ২১ শে জুলাইয়ের সভামঞ্চ থেকে অভিষেক প্রকাশ্যেই ‘নতুন তৃণমূল’ তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ওই হোর্ডিং তারই ফল হতে পারে বলেও অনেকের অনুমান।