কিছু দিন আগেই দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের সময় মালবাজারের মাল নদীতে হড়পা বান কাণ্ডে প্রাণ যায় অসংখ্য মানুষের। পাশাপাশি সেদিন আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার কার্যে হাত লাগান অনেক স্থানীয়রাই। গতকাল (মঙ্গলবার) মাল বাজারে পৌঁছে গিয়ে উদ্ধারকারীদের সাহসিকতার জন্য আর্থিক পুরস্কার দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া সকলকে সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরির প্রস্তাব পর্যন্ত দেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
হড়পা বান কান্ডে প্রাণ যায় মোট আটজনের। এছাড়া আহত হন বহু। সেদিন নিজেদের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধারকার্য চালায় অসংখ্য যুবক যুবতী আর। তাদের জন্যই জলে তলিয়ে যাওয়া মানুষজনকে বাঁচানো সম্ভব হয়। অবশেষে এদিন এই সাহসিকতার পুরস্কারই দেওয়া হয় তাদের।
এদিন মালবাজারের আদর্শ বিদ্যাভবনে প্রশাসনিক বৈঠক চলাকালীন হড়পা বান কাণ্ডে উদ্ধারকার্যে সামিল সাত যুবক যুবতীকে মঞ্চেই ডেকে নেন মুখ্যমন্ত্রী এবং পরবর্তীতে সরকারি চাকরির নিয়োগ পত্র দেওয়ার পাশাপাশি ১,০০,০০০ টাকা করে আর্থিক পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় তাদের হাতে।
কিন্তু পরবর্তী দুজন ব্যক্তি সেই চাকরির প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। আবার অপরদিকে ইতিমধ্যে শালবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মহম্মদ তরিফুল এবং মহম্মদ ফরিদুলকে উক্ত অনুষ্ঠানে না ডাকা প্রসঙ্গে একের পর এক বিতর্ক তৈরি হয়। সূত্রের খবর, এদিন মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে মৃতদের পরিবারকেও চাকরির অফার লেটার তুলে দেওয়া হয়।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরিতে খুশি নন মহম্মদ মানিক। তিনি মাল নদীতে ভেসে যাওয়া অসংখ্য মানুষকে রক্ষা করেন। নিজের প্রাণের পরোয়া না করে মানুষের সাহায্যার্থে নেমে পড়ে ওই যুবক। বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রীর পদক্ষেপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “পরিবারের দাবি সিভিক ভলান্টিয়ারের নিয়োগপত্র নয়, কনস্টেবল টাইপের স্থায়ী চাকরি চাই। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছে।”