নিয়োগের দুর্নীতি হয়েছে,মূল প্যানেল থেকে ওয়েটিং লিস্ট পর্যন্ত। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নিয়োগ এসএসসি দুর্নীতি মামলার শুনানি চলাকালীন আদালতে এমনটাই দাবি করল। বিচারপতি সেই দাবি শুনে জানিয়ে দিলেন, অপরাধে যুক্ত কাউকে রেয়াত করা হবে না। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু গ্রুপ-ডি কর্মী নিয়োগে দুর্নীতি সংক্রান্ত এক মামলায় সিবিআইয়ের সিটের নবনিযুক্ত প্রধান অশ্বিন শেনভিকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আশ্বিন সেই শুনানিতে উপস্থিত হয়ে জানান, দুর্নীতি হয়েছে এখনো পর্যন্ত প্রায় ২১ হাজার পদের।তাঁর দাবি, ওই ২১ হাজারের মধ্যে ৯ হাজারের বেশি উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) বিকৃত করা হয়েছে।
আরো জানান আদালতে সিবিআইয়ের সিট প্রধান, এই তদন্তের মোর ঘুরিয়ে দিয়েছে,উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার হওয়া এসএসসি-র হার্ড ডিস্কই। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, গোলমাল রয়েছে মেধা তালিকায় প্রথমে ভাবা হয়েছিল। কিন্তু তারপর দেখা গেল দুর্নীতি অনেক বড়!এই সব নথি এসএসসি-কে দেখানো হয়েছে বলেও সিবিআইয়ের তরফে দাবি করা হয়।
সিটের প্রধানের চাঞ্চল্যকর দাবি শুনে সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু উল্লেখ করেন, দুর্নীতিতে যুক্ত আছে এমন কাউকে ছেড়ে কথা বলা হবে না। তিনি বলেন, ‘‘আমি অবাক হচ্ছি। তদন্তে আপনার যা সাহায্য লাগবে আদালতে এসে জানাবেন। আদালত সব রকম সাহায্য করবে। এই দুর্নীতির শেষ দেখা দরকার। যারা এই দুর্নীতিতে যুক্ত তাঁদের কাউকে ছাড়া হবে না।’’
না বিচারপতি বসুর এসএসসির উদ্দেশ্যে মন্তব্য, “থেকে কাদা সরিয়ে জলটাকে স্বচ্ছ করুন।’’তাঁর পর্যবেক্ষণ, এই দুর্নীতির তদন্তে বিচার অনেকটা পথ পেরিয়ে এসেছে। যে যোগ্য প্রার্থীরা বঞ্চিত হয়েছেন, তাঁরা শুধু ফলাফলের আশায় বসে রয়েছেন। তাঁরা জানতে চান না সিবিআই কী করল, স্কুল সার্ভিস কমিশন কী করল! যোগ্য প্রার্থীরা শুধু নিয়োগপত্র চান বলেও উল্লেখ করেন বিচারপতি বসু।