ওদের অনলাইন ক্লাসও কিংবা অফিসের মিটিং,সব বয়সিদেরই ফোনের প্রতি নির্ভরশীলতা বেড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে প্রায় ২২০ কোটি মানুষ চোখের সমস্যায় ভুগছেন। দেখা গিয়েছে গবেষণায়,শুধু চোখে কম দেখা বা ঝাপসা দেখা ছাড়াও মোবাইল ফোন এবং ফোনের স্ক্রিন থেকে বিচ্ছুরিত আলো চোখ সংক্রান্ত আরও অনেক জটিলতার সঙ্গে যুক্ত।
চোখের চিকিৎসকদের মতে, কোন ব্যক্তি যদি আট ঘণ্টারও বেশি মোবাইলে স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকে তাহলে চোখের গঠনের পরিবর্তন আসে। তাই নয় শুধু চোখের মনি আকারেরও উপর প্রভাব পড়ে।
বিশেষজ্ঞদের মতে,অতিমারির পর থেকেই শিশুদের মধ্যে মায়োপিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আক্রান্ত হলে দূরের জিনিস স্পষ্ট ভাবে দেখা যায় না।এই রোগে আক্রান্ত হলে দূরের জিনিস স্পষ্ট দেখা যায় না। ব্যতিক্রম থাকলেও কিছু দিন আগে পর্যন্ত এই জাতীয় সমস্যাগুলি শুরু হত ১৮ বছরের পর থেকে। কিন্তু এখন এই ব্যাপার তো শিশুদের ক্ষেত্রে খুবই সাধারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগে যে সমস্ত বাচ্চা চশমার ব্যবহার করত এখন তাদের পাওয়ার অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে চশমার।
কি কি নিয়ম মেনে চলবেন চোখ ভালো রাখতে গেলে?
চিকিৎসকদের মতে, চোখ ভালো রাখার একমাত্র উপায় ফোনের দিকে বেশিক্ষণ তাকিয়ে না থাকায়।কিন্তু যদি কাজের জন্য দীর্ঘ ক্ষণ ফোন বা ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে থাকতেই হয়, সে ক্ষেত্রে কিছু টোটকা মাথায় রাখা জরুরি।
১) ৭-৮ ঘণ্টা কাজের পর, রাতে শুয়ে সমাজমাধ্যমে ঘোরাঘুরি বন্ধ করতে হবে।
২) মোবাইল ফোনের পরিবর্তে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহার করাই ভালো।
৩) একটানা ফোন বা ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে না থেকে ২০-২০-২০ নিয়ম মেনে কাজ করতে হবে। অর্থাৎ ২০ মিনিট অন্তর ২০ সেকেন্ড ২০ ফুট দূরত্বে থাকা কোনও বস্তুর দিকে লক্ষ্য স্থির করে তাকিয়ে থাকার অভ্যাস করতে হবে।