শীত পড়তেই যে মরসুমি ফল ও শাকসব্জিতে বাজার ছেয়ে গিয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম ফুলকপি। গোবিন্দভাগ চালের খিচুড়ি কিংবা সাদা আলুর তরকারি— কয়েক টুকরো ফুলকপি না পড়লে ঠিক জমে না। ফুলকপি খেতে অনেকেই ভালবাসেন। ফুলকপির তরকারি থাকলে আর কিছু না হলেও চলে। স্বাদের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি ফুলকপি শরীর ভাল রাখতেও সমান উপকারী। তবে ফুলকপি খেলে গ্যাস হয় বলে রান্নার আগে এক বার ভাপ দিয়ে নেন অনেকেই।
ফুলকপিতে আছে ক্যালশিয়াম এবং ফ্লোরাইডের মতো উপাদান। হাড় এবং দাঁতের যত্ন নিতে এই দুই উপাদানের জুড়ি মেলা ভার। শীতকালে এমনিতেই ক্যালশিয়ামের ঘাটতি তৈরি হয় শরীরে। ফলে সুস্থ থাকতে শীতে রোজের পাতে রাখতেই পারেন এই সব্জি। ফুলকপির রয়েছে বহুমুখী স্বাস্থ্যগুণ। ভিটামিন বি, সি, এবং কে ভরপুর পরিমাণে রয়েছে ফুলকপিতে। এই তিনটি উপাদান শরীরের প্রতিরোধশক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি আরও অনেক শারীরিক সমস্যার নিমেষে সমাধান করে। ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। ফলে চোখ সুস্থ রাখতে নিয়ম করে খেতে পারেন ফুলকপি।
কাদের ফুলকপি খেলে সমস্যা হতে পারে?
ফুলকপিতে পটাশিয়ামের পরিমাণ অনেক বেশি। এই পটাশিয়াম রক্ত অত্যধিক পরিমাণে ঘন করে তোলে। এমনকি জমাট বেঁধে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। যাঁরা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন, ফুলকপি তাঁদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
কিছু খেলেই পেট ফাঁপার সমস্যা ভোগেন? তা হলে ফুলকপি একেবারেই এড়িয়ে চলুন। ফুলকপিতে ফাইবারের পরিমাণ বেশি। ফাইবার হজমশক্তি উন্নত করলেও প্রয়োজনের অতিরিক্ত খেলে সমস্যা হতে পারে।