বাঙালির বিয়ে বাড়ি মানেই শাড়ির রমরমা। কিন্তু বলা মুশকিল,যে ভাবে শহরে জাঁকিয়ে শীত পড়েছে তাতে শাড়িতে কতটা ঠান্ডা মানবে।অতঃপর শাড়ির উপরে সোয়েটার কিংবা শাল — পুরো সাজের দফারফা। এমন পরিস্থিতিতে কোন সাজে মাতিয়ে তুলবেন বিয়েবাড়ি? রইল তারই হদিস।
স্রেফ শাড়ি, সঙ্গে যদি থাকে একটু অন্য ধরনের সোয়েটার— এই যুগলবন্দীতেই সাজ হয়ে উঠতে পারে কেতাদুরস্ত। একদিক থেকে যেমন সাজ বজায় থাকবে আবার তেমনি অন্য দিক থেকে রক্ষা পাবে শীতের থেকেও।
টার্টল নেক আর ফিটেড সোয়েটার
কায়দা করে শাড়ি পরুন বা টার্টল নেক হাই নেক সোয়েটারের সাথে। আঁচল ফেলেও রাখতে পারেন আবার কুচিও করতে পারেন।সোয়েটার এক রঙা হলে শাড়ি একটু জমকালো পরুন। অথবা উল্টোটাও হতে পারে।
ব্লেজার বা কার্ডিগান
শাড়ি পরার পর দু’হাতে ব্লেজার গলিয়ে নিয়ে কাঁধের উপর আঁচল ফেলুন। অথবা সরু প্লিটেড আঁচল করে, দুই কাঁধের উপর হালকা করে ফেলে রাখুন চমকপ্রদ ব্লেজার। তবে একটি বিষয় খেয়াল রাখা প্রয়োজন, ব্লেজার বা কার্ডিগান যাই হোক, বোতাম আটকালেই কিন্তু সাজের পরিপাটি শেষ।
ফক্স ফার
জমকালো ফারকোট আর মনক্রম শাড়ি। ব্যাস সবার চোখ থাকবে আপনার দিকে।ফার কোটের মধ্যে ফক্স ফারের প্রাধান্যই বেশি। তবে কোন শাড়ির সঙ্গে কোন ফার কোট বাছাই করছেন সে দিকে নজর রাখা প্রয়োজন।
ডেনিম বা লেদার জ্যাকেট
শাড়ির সঙ্গে যে ডেনিম বা লেদার জ্যাকেট একেবারেই যায় না তা কিন্তু নয়।বরং ফিউশন সাজ তুলে ধরে সাজে এক অন্য মাত্রা যোগ করে। শাড়ির উপর হালকা করে চড়িয়ে দিন জ্যাকেট। সঙ্গে থাকুক স্বল্প গয়না।
বেল্ট ও লং জ্যাকেট
শাড়ি সহ যদি লংজাকেই পড়তে হয় তাহলে তালিকায় রাখুন শিফন শাড়ি। এর সঙ্গে রাখুন জমকালো বেল্ট বা কোমর বন্ধনী।এর উপর গলিয়ে নিন লং জ্যাকেট। আপনার সাজ তৈরি।