উৎসবের মরশুমে দারুণ উদ্যোগ নিল বিধাননগর শ্রমজীবী ট্রাস্ট। আজ মহালয়ার দিন বিধাননগর ২০৬ বাস টার্মিনাসের সামনে এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ৮০ জন প্রান্তিক শিশুর হাতে নতুন পোশাক তুলে দিল বিধাননগর শ্রমজীবী ট্রাস্ট। এদিন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি।
এদিন এই অনুষ্ঠানের শুরুতে ক্যানসার আক্রান্ত শ্রী দেবাশিস মন্ডলের পরিবারের হাতে প্রথম দুটো কেমোথেরাপির টাকা তুলে দেন ট্রাস্টের সম্পাদক শুভঙ্কর বসু। ওই ট্রাস্টের তরফে জানানো হয়, দেবাশিস মন্ডলের পরবর্তী প্রয়োজনীয় কেমোগুলির খরচ নির্বাহের জন্যেও তারা যথাসাধ্য উদ্যোগ নেবেন।
এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাবন্ধিক ও জন বিজ্ঞান আন্দোলনের রাজ্য নেতা বাসব বসাক, শুভঙ্কর বসু, অনীশ মজুমদার, সংগীতকার চন্দন বিশ্বাস, অলোক বিশ্বাস, সংযুক্তা সেনগুপ্ত, সৌমিশ দে, ইন্দ্রনীল শীল, সপ্তর্ষি দাস, মিতালি হাজরা, শাশ্বতী মন্ডল, শিবাংশু সরকার, অলোকা চৌধুরী, স্বদেশ বোস, অঞ্জন দত্ত, স্বপন নন্দী, কবি শ্যামল সেন, সৌম্য ঘোষাল, আইনজীবী শাক্য মাইতি, জগন্নাথ প্রামাণিক প্রমুখ।
পুজোর মরশুমে হান্নান, মান্নান বা সুরজিতের মত ৮০ জন শিশু নতুন জামা পেয়ে অত্যন্ত খুশি। প্রশস্ত রাস্তার দুপাশে অত্যুজ্জ্বল নিয়ন আলোকমালা সজ্জিত নান্দনিক শৈলীতে গড়ে ওঠা হর্ম্যরাজি শোভিত লবনহ্রদের প্রান্তে হান্নান, মান্নান, সুরজিতদের মত একাধিক শ্রমজীবী পরিবারের বাস।
বিভিন্ন দুর্নীতিতে জর্জরিত রাজ্য। তার উপর বেকারত্ব, দ্রব্য মূল্যের বৃদ্ধি সব মিলিয়ে অস্থির বাংলা। এমন একটা পরিস্থিতিতে বিধাননগর শ্রমজীবী ট্রাস্টের এই উদ্যোগ যথেষ্ট প্রশংসনীয়। আজ লোকসভা-বিধানসভা বাম শূন্য হলেও এই প্রান্তিক মানুষদের স্বার্থে তাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে মাথা উঁচু করে ঠিক এভাবেই আগুয়ান হোক লাল স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী। মানুষের ভালোবাসাকে পাথেয় করে এভাবেই গভীর এমন প্রতিটি দিকভ্রষ্ট নাবিকের লাইট হাউজ হয়ে উঠুক বিধাননগর শ্রমজীবী ট্রাস্ট।