শ্রুতিদাস প্রায় এক বছর পর সেটের ফ্লোরে ফিরলেন। আবারো ছোট পর্দায় ফিরছেন অভিনেত্রী “রাঙা বউ’ হয়ে। অনেকেই প্রশ্ন করেছিলেন কাজ না নিয়ে কাটোয়া থেকে ফিরবেন না? তেমনটাই হলো যেমনটা ভেবেছিলেন। তিনি বললেন প্রচুর অডিশন দিয়েছেন তবুও কাজ তিনি পাননি। আর তিনি সবাইকে বলেছিলেন ফিরলে লিড হয় ফিরবেন আর তাই হল। আমি কারোর হাত ধরে এগোয়নি। আমার হাত ধরা হয়েছে। আমায় ডেকে আনা হয়েছে। আমি তাতেই খুব খুশি। অনেকেই বলেছিলেন যে সেই প্রেমিক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দারের হাতই ধরতে হল শ্রুতিকে, কী বলবেন?
তিনি বললেন এইসব তিনি একদমই ভাবছেন না। মানুষের মুখ আছে মানুষ তো বলবেই।হাত ধরার প্রসঙ্গে একটাই কথা বলব, ‘জি বাংলা’ হাত ধরে ‘ক্রেজি আইডিয়াজ়’-এর হাতে ছেড়ে দিয়েছি। এ বার দায়িত্ব স্বর্ণেন্দু সমাদ্দারের। প্রথম হাত ধরেছে চ্যানেল।
তার এই ফ্লোরে নয়ন সেজেই হাতে খড়ি হয়েছিল। তিনি আবারও ফিরলেন একই ফ্লোরে যাত্রাটা কেমন?
এখন ফিরে তাকালে মনে হয়, চোখ-কান-নাক কম খোলা ছিল। তখনই বেশ ছিলাম। এখন সব কিছু খুলে গিয়েছে, তাই চিত্রগুলো পরিষ্কার। সমাজমাধ্যমে এত মানুষের কথা, ফ্যানপেজ এগুলো ছিল না, কাজটা নিয়েই শুধু ভাবতাম। তার পর সম্পর্কে জড়িয়েছি। বুঝতে পারিনি, এই ইন্ডাস্ট্রিতে সম্পর্কে জড়ালে কটূক্তি শুনতে হয়। এগুলো যে দিন থেকে বুঝতে শিখলাম, তখন থেকে অনেক কিছু ভাবায়। তবে এখন আর কিছুই ভাবছি না কাজ ছাড়া।
পুরনো জুটিদের পর্দায় ফেরানোর একটা ট্রেন্ড চালু হয়েছে, গৌরবকে আবারও সহ-অভিনেতা হিসাবে পেয়ে খুশি, না কি নতুন নায়ক আশা করেছিলেন?
তিনি বললেন এমন উদাহরণ খুব কমই, সুতরাং বুঝতে হবে আমরা অমূল্য। প্রত্যেকটা মেগাতে যদি পুরনো জুটিদের ফের দেখা যেত, তা হলে বুঝতাম, আমরা আর পাঁচ জনের মতোই। কিন্তু যেহেতু খুব বাছাই করে জুটি পছন্দ করা হয়, আমাদের মধ্যে নিশ্চয়ই কিছু আছে।
কি বলছেন তার মা বাবা? ভীষণই খুশি তারা এই কাজে তারা জানেন মেয়ে সৎ পথে এই কাজ পেয়েছে। তাই আনন্দিত বেশ।