নাম ‘সমন্বয় বৈঠক’।আরএসএস সঙ্ঘ পরিবারের বিভিন্ন সংগঠনের মধ্যে সমন্বয়ের উদ্দেশেই এমন বৈঠক করে থাকে।বার্তা দিলেন সঙ্ঘ কর্তারা বৃহস্পতিবারের সেই বৈঠকে বিজেপির মধ্যে সমন্বয়ের বার্তা দিলেন।আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচন তো বটেই, তার পরে ‘বড় লড়াই’ লোকসভা ভোটের দিকে তাকিয়েও একসঙ্গে লড়াই করতে হবে বলে সকাল থেকে সন্ধ্যা ক্লাস করানো হল সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষদের।
ছিলেন অমিতাভ চক্রবর্তীও। তবে বৈঠকে ছিলেন না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্ঘের পক্ষে এই বৈঠকে শুভেন্দুকে যে ডাকা হবেই, তেমন কোনও কথা ছিল না। কারণ, শুভেন্দু রাজ্য বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা। তিনি সঙ্ঘের কোনও শাখার নেতৃত্বে নেই। বৃহস্পতিবারের সমন্বয় বৈঠক ছিল সঙ্ঘ পরিবারের বিভিন্ন সংগঠনের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর কারণেই।
অনেকেই মনে করছেন, এই বার্তার পিছনে গেরুয়া শিবিরের বর্তমান ‘অন্তর্দ্বন্দ্ব’ বড় কারণ। নিজেদের মধ্যে মিলেমিশে থাকার কথা বলে সেই সব কোন্দলের দিকেই আঙুল তোলা হয়েছে। তাতে সঙ্ঘের প্রচারক থেকে রাজনীতিক হওয়া দিলীপের প্রতিও বার্তা ছিল। একই ভাবে সুকান্ত-দিলীপ সংঘাতও যাতে নজরে না আসে, সে বিষয়েও বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে দলের একাংশের দাবি। এর আগে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলায় এসে একাধিক বৈঠকে দল এবং পরিষদীয় দলের মধ্যে সমন্বয়ের কথা বলেছিলেন। নিয়মিত বৈঠকের প্রয়োজনীয়তার কথাও শুনিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার সরাসরি সেই কথা না বলা হলেও তেমন ইঙ্গিত ছিল সঙ্ঘকর্তাদের বক্তব্যে।
পরে এক সঙ্ঘকর্তা এই বিষয়ে বলেন, ‘‘আরএসএস সামাজিক সংগঠন। লক্ষ্য পরমবৈভবশালী ভারত গঠন। স্বয়ংসেবকরা বিভিন্ন সংগঠনে থাকলেও একই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করেন। সঙ্ঘ সরাসরি কারও কর্মসূচি ঠিক করে দেয় না। কোথাও হস্তক্ষেপও করে না। তবে কোথাও সমস্যা তৈরি হলে তার সমাধানের পাশাপাশি নিয়মিত ভাবে দিকনির্দেশ করে। সেই কাজটাই হয়েছে এই বৈঠকে।’’