তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মাত্র ১৭ দিন আগে কাঁথিতে সভা করে এসেছেন। শাসকদলের সেই দাবিকে ‘সত্যি’ ধরলে পদ্ম শিবিরের লক্ষ্যই ‘অর্ধেক’! বুধবার, ২১ ডিসেম্বর নিজের এলাকায় সভা রয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। সেই সভার ২৪ ঘণ্টা আগে মঙ্গলবার বিজেপি অভিযোগ করছে, তাদের সভা বানচালের চেষ্টা করছে শাসক শিবির। বিজেপির অভিযোগ, তাদের কর্মীদের ভয়ও দেখানো হচ্ছে।
দীর্ঘ সময় ধরে কাঁথির রাশ থেকেছে অধিকারী পরিবারের হাতে। রসুলপুর মোহনা তীরবর্তী এই ছোট্ট শহরে শিশির অধিকারী এবং তাঁর পুত্রদের প্রভাব প্রশ্নাতীত। সেখানেই সভা করবেন শুভেন্দু। অথচ তাঁর রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীর সভায় যে জমায়েত হয়েছিল, তার প্রায় অর্ধেক ‘টার্গেট’ নিয়ে মাঠে নামছেন শুভেন্দু অনুগামীরা। অভিষেকের পাল্টা সভায় শুভেন্দু নিজের তালুকে শক্তিপরীক্ষা দেবেন, এটাই রাজনৈতিক ভাবে ‘কাম্য’। কিন্তু তার আগেই কেন ‘লক্ষ্য’ কম? প্রশ্ন অন্যান্য শিবিরের।
বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুদাম পণ্ডিতের অভিযোগ, বার বার বাধার মুখে পড়ছেন তাঁরা। শুভেন্দুর সভায় যাতে জনসমাগম কম হয়, তার জন্য সব রকম চেষ্টা করছে শাসক দল। তাঁদের কর্মীদের ভয় দেখানোরও অভিযোগ করছেন সুদাম। সভা করতে গিয়ে আদালতে যাওয়া, মাইক বাজানোর অনুমোদন নিয়ে জটিলতার মতো ‘বাধা’র অভিযোগও করেছেন। বিজেপির এ-ও অভিযোগ, শুভেন্দুর সভা বানচাল করতে প্রশাসনিক স্তরেও অসহযোগিতার পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। তবে পাশাপাশিই সুদামের দাবি, সেই বাধা পেরিয়ে বিপুল জনসমাগম করার ‘লক্ষ্য’ নিয়ে এগোচ্ছেন তাঁরা। সুদামের কথায়, “শুভেন্দুর সভা ঘিরে কোনও বাধাই ধোপে টিকবে না। যত বাধা আসবে, ততই আমরা এগিয়ে যাব।” তাঁর সংযোজন, “আমাদের টার্গেট ৪০ থেকে ৫০ হাজার লোক জমায়েত করা। তবে তার থেকে অনেক বেশি মানুষ আসার সম্ভাবনা আছে।”
যে কোনও সভার আগে রাজনৈতিক দলগুলি জমায়েতের একটি ‘লক্ষ্যমাত্রা’ নেয়। বেশির ভাগ সময় সেই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম মানুষই জড়ো হন। সেখানে আগে থেকেই লক্ষ্যমাত্রা ‘কম’ রেখেছে পদ্ম শিবির। এ নিয়ে তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তরুণ মাইতির কটাক্ষ, “যে মাঠে বিজেপি সভা করছে, সে মাঠে ঠাসাঠাসি করেও ১০ হাজারের বেশি জমায়েত করা যাবে না। তা ছাড়া, শুভেন্দু অধিকারীর সভা সফল করতে অন্য জেলা থেকে লোক আনতে হচ্ছে বিজেপিকে। পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ইত্যাদি জেলার লোক আসবে কাঁথির সভায়। কিন্তু স্থানীয়রা কোথায়?’’ তরুণের মন্তব্য, ‘‘অভিষেকের সভায় যে রকম লোক হয়েছিল তার সঙ্গে বিজেপির সভার কোনও তুলনাই হয় না।”
যে কোনও সভার আগে রাজনৈতিক দলগুলি জমায়েতের একটি ‘লক্ষ্যমাত্রা’ নেয়। বেশির ভাগ সময় সেই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম মানুষই জড়ো হন। সেখানে আগে থেকেই লক্ষ্যমাত্রা ‘কম’ রেখেছে পদ্ম শিবির। এ নিয়ে তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তরুণ মাইতির কটাক্ষ, “যে মাঠে বিজেপি সভা করছে, সে মাঠে ঠাসাঠাসি করেও ১০ হাজারের বেশি জমায়েত করা যাবে না। তা ছাড়া, শুভেন্দু অধিকারীর সভা সফল করতে অন্য জেলা থেকে লোক আনতে হচ্ছে বিজেপিকে। পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ইত্যাদি জেলার লোক আসবে কাঁথির সভায়। কিন্তু স্থানীয়রা কোথায়?’’ তরুণের মন্তব্য, ‘‘অভিষেকের সভায় যে রকম লোক হয়েছিল তার সঙ্গে বিজেপির সভার কোনও তুলনাই হয় না।”