ভোটে টিকিট পাওয়ার আগেই আগামী পাঁচ বছরে ৩৫০ কোটি টাকা দানের পরিকল্পনা করে ফেলেছেন কর্ণাটকের ধনীতম রাজনীতিক। তিনি আর কেউ নন, ব্যবসায়ী ইউসুফ শরিফ ওরফে কেজিএফ বাবু। কেজিএফ বাবুর এই ঘোষণার পরেই বেঙ্গালুরুতে তাঁর প্রাসাদোপম বাড়িতে কংগ্রেস কর্মীদের ঢল নেমেছে।
কেজিএফের কথায়, ‘‘ভোটের কথা মাথায় রেখে এই অর্থ দান করছি না। যে চিকপেটে আমি বেড়ে উঠেছি, তার বাসিন্দাদের সাহায্য করাই আমার উদ্দেশ্য। দীর্ঘ দিন ধরেই সমাজসেবা করছি। সমাজকে কিছু ফিরিয়ে দেওয়াই আসল লক্ষ্য।’’ চিকপেট বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটে দাঁড়ানোর ইচ্ছাপ্রকাশ করছেন ইউসুফ। কিন্তু এখনও কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের সবুজ সঙ্কেত পাননি তিনি। আগামী ৩১ শে আগস্টের আগে তা পেয়ে যাবেন বলেই আশা করছেন তিনি।
কেজিএফ বলেন, ‘‘চিকপেট এলাকার প্রতিটি ঘরের প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক পড়ুয়ার জন্য ৫,০০০ টাকা করে অনুদান দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। পাঁচ বছরে সে কাজে ১২৫ কোটি টাকা খরচ হবে।এ ছাড়া, অন্তত হাজার পাঁচেক কলেজপড়ুয়াকে ৫,০০০ টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে। সে জন্য সাড়ে সাত কোটি টাকা বরাদ্দ করেছি।’’
এছাড়া ওই এলাকার বস্তিবাসীদের জন্য ১৮০ কোটি টাকা খরচ করে লিফ্ট-সহ বহুতল গড়ে দিতে চান বলে দাবি করেছেন কেজিএফ। এবিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘বস্তিবাসীরা তাঁদের জমি দান করলে তবেই এ কাজে হাত দেব। প্রত্যেককে ছ’লাখ টাকা দামের ফ্ল্যাট গড়ে দেওয়া হবে।’’
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের বিধান পরিষদের নির্বাচনে বেঙ্গালুরু আর্বান কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে ভোট দাঁড়িয়েছিলেন কেজিএফ। কিন্তু ৩৯৭ ভোটে হেরে যান। তবে হলফনামায় তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ প্রকাশ্যে আসার পর শিরোনামে চলে আসেন তিনি। হলফনামায় কেজিএফ জানিয়েছিলেন, ১,৭৪৩ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে তাঁর।
এরপরই কর্নাটকের ধনীতম রাজনীতিকের তকমা পেয়েছিলেন তিনি। যাইহোক, ভোটের টিকিট পাওয়ার আগেই ঢালাও প্রতিশ্রুতি করছেন তিনি।এত প্রতিশ্রুতির পর শেষমেশ কেজিএফ ভোটের টিকিট পান কি না, তা সময়ই বলবে।