আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ এনে দিয়েছে এমিলিয়ানো মার্টিনেজের গ্লাভস জোড়া । তবুও ২০২২ সালে সেরা গোলকিপার নন তিনি। ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ ফুটবল হিস্ট্রি অ্যান্ড স্ট্যাটিস্টিক্স-এর বিচারে আর্জেন্টাইন গোলকিপার রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে।
লুসেইল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনাল ম্যাচটি গড়িয়েছিল টাইব্রেকারে। পেনাল্টি শুট আউটের সময় আর্জেন্টাইন গোলকিপার মার্টিনেজ ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।
কবে শেষ হয়ে গিয়েছে ফাইনাল খেলা কিন্তু এখনো চর্চার মধ্যে রয়েছেন মাটিনেজ। পেনাল্টি শুট আউটের সময় ফরাসি ফুটবলারদের মনস্তাত্বিক পরীক্ষা নিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন গোলকিপার। বল ছুঁড়ে ফেলে দেন। ফরাসি ফুটবলাররা পেনাল্টি স্পটে ঠিকঠাক বল বসাচ্ছেন কিনা, সেই বিষয়ে রেফারির দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করছিলেন।
একইসঙ্গে নিন্দিত এবং নন্দিতও লিও মেসির দলের গোলকিপার। তিনি ফাইনালের আগেও টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনার রক্ষাকর্তা ছিলেন। এমনকি মার্টিনেজ নেদারল্যান্ডস এর বিরুদ্ধেও পেনাল্টি বাঁচিয়েছিলেন।
মার্টিনেজ হলেন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য। তিনি গোল্ডেন গ্লাভসও জয় করেছেন। এরপরও এমিলিয়ানো মার্টিনেজ নন ২০২২ সালের সেরা গোলকিপার।
ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ ফুটবল হিস্ট্রি অ্যান্ড স্ট্যাটিস্টিক্স (আইএফএফএইচএস)-এর বিচারে সেরা দশ গোলকিপারের যে তালিকা তৈরি করা হয়েছে, তাতে শীর্ষ স্থানে বেলজিয়ান গোলকিপার থিবো কুর্তোয়া (Thibaut Courtois)। দ্বিতীয় স্থানে আর্জেন্টিনার বিতর্কিত গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। কুর্তোয়া ও মার্টিনেজের মধ্যে ব্যবধান ১৫ পয়েন্টের। বেলজিয়ান গোলকিপারের সংগ্রহে ১২৫ পয়েন্ট। সেখানে মার্টিনেজের পয়েন্ট ১১০। এবার নিয়ে দ্বিতীয়বার বর্ষসেরার পুরস্কার পেলেন কুর্তোয়া। ২০১৮ সালেও তিনি বর্যসেরা গোলকিপার হয়েছিলেন। যদিও বেলজিয়াম কাতার বিশ্বকাপে হতাশই করেছে । কিন্তু ক্লাব পর্যায়ে দারুণ সফলতা অর্জন করেছে থিবো কুর্তোয়া । রিয়াল মাদ্রিদের বারের নীচে দাঁড়িয়ে বেলজিয়ান গোলকিপার জিতেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও লা লিগা।
তৃতীয় স্থানে রয়েছেন মরক্কোর গোলকিপার ইয়াসিন বোনো। তাঁর পয়েন্ট ৫৫। চতুর্থ স্থানে ক্রোয়েশিয়ার গোলকিপার ডমিনিক লিভাকোভিচ। শেষ ষোলোর মরক্কো ও স্পেন ম্যাচে ইয়াসিন বোনোর ছায়া দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়ে উঠেছিল। পেনাল্টি শুট আউটে মরক্কোর জয়ের নায়ক বোনো।
ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে মেগাটুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছিল ব্রাজিল। টাইব্রেকারে ক্রোট গোলকিপার লিভাকোভিচ দলের রক্ষাকর্তা হয়ে ওঠেন। তাঁর পয়েন্ট ৩০। ফ্রান্সের গোলকিপার হুগো লরিস রয়েছেন পাঁচ নম্বরে। তাঁর সংগ্রহে ২৫ পয়েন্ট।
পোল্যান্ডের গোলকিপার ভয়চিক স্টেঞ্জনে আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিও মেসির পেনাল্টি বাঁচিয়েছিলেন বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে। তিনি রয়েছেন ছ’ নম্বরে। তাঁর সংগৃহীত পয়েন্ট ১৫। স্লোভেনিয়ার গোলকিপার ইয়ান ওবলাক ১০ পয়েন্ট পেয়ে সাত নম্বরে। ব্রাজিলের অ্যালিসন বেকারেরও পয়েন্ট ১০। তিনি আট নম্বরে। ইংল্যান্ডের জর্ডান পিকফোর্ড ও ফ্রান্সের মাইক মিনঁ রয়েছেন যথাক্রমে নবম ও দশম স্থানে। দু’ জনেরই সংগ্রহে পাঁচ পয়েন্ট।