মাঠেই ভেঙ্গে পড়েন নেইমার ক্রোয়েশিয়ার কাছে টাইব্রেকারে হেরে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর। তখন যেন তিনি একটা শিশুর মতন কাঁদছিলেন। তাকে সতীর্থরা সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন। দুটি শিশুর সেই সময় তার দিকে এগিয়ে আসে। তাদের গায়ে ক্রোয়েশিয়ার জার্সি।
নেইমার তখন মাঠের মাঝখানে দানি আলভেজ়ের কাঁধে মাথা রেখে তখন কাঁদছিলেন।স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণায় বিদ্ধ সতীর্থকে শান্ত করার চেষ্টা করছিলেন আলভেজ়। তাঁদের কাছেই দাঁড়িয়েছিলেন ব্রাজিল দলের দুই নিরাপত্তাকর্মী। তখন দুটি শিশু তাদের কাছে এগিয়ে যেতে নিরাপত্তা রক্ষীরা আটকান। মেয়েটি একটু দূরে দাঁড়িয়ে গেলেও, ছেলেটি সাহস করে নেইমারের দিকে এগিয়ে যায়। আরেকটা দূর থেকে তাকে ডাকলে, নেইমার তখন তার দিকে এগিয়ে যায়। বাধা দেন নিরাপত্তা রক্ষীদের বাধা দিতে।
আসলে ছেলেটি পরাজিত নায়ক কে সান্তনা দিতে এসেছিল। সে যদিও ক্রোয়েশিয়ার হলেও তার প্রিয় ফুটবলার নেইমার।তাই পরাজয়ের পর দেশের ব্যবধান মুছে সে পৌঁছে গিয়েছিল নেমারের কাছে। তাকে বুকে জড়িয়ে নেয় নেইমার ও কপালে একটি চুম্বন করেন। করা নিরাপত্তা এড়িয়ে কি করে ছেলেটি পৌঁছে গেল নেইমারের কাছে? প্রশ্ন উঠতেই পারে।
কোনরকম নিরাপত্তা বিঘ্নিত ঘটনা ঘটেনি।ম্যাচ শেষ হওয়ার পর ফুটবলারদের পরিবারের সদস্যদের মাঠের মধ্যে ঢুকতে দেওয়া হয়েছিল আনন্দে সামিল হওয়ার জন্য তখনই শিশুটি মাঠে ঢোকে।ইভান পেরিসিচ তার বাবার নাম। ক্রোয়েশিয়ার অভিজ্ঞ ফুটবলার ব্রাজিলকে হারাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন।ক্রোয়েশিয়ার আক্রমণ তৈরির অন্যতম কারিগর পেরিসিচের ছেলে লিয়োনার্দো নেমারের ভক্ত। সে এগিয়ে যায় মাঠের মাঝখানে তার প্রিয় ফুটবলার কে কাঁদতে দেখে। হামটি রাখেনি নেইমারও সৌজন্যের।প্রতিপক্ষ দলের ফুটবলারের সন্তানকে কাছে টেনে নেন। টান টান লড়াইয়ের শেষে এক অন্য রকম মুহূর্তের সাক্ষী থাকলেন ফুটবলপ্রেমীরা। উল্লেখ্য, ম্যাচ শেষে পেরিসিচও সান্ত্বনা জানিয়ে যান হতাশ নেমারকে।