ঈশান কিশনের প্রথম শতরান আন্তর্জাতিক মঞ্চে। যদিও তিনি রোহিত শর্মার জায়গায় খেলতে নেমে ১০০ রান করে থেমে থাকেননি। ২০০ রানে পৌঁছে গেলেন তিনি। বিরাট কোহলি সেই সময় তার সঙ্গে সঙ্গী।উল্টো দিক থেকে তিনি দেখলেন তরুণ ওপেনারের ব্যাটে ভারতের বিরাট রানের ইনিংস। ২১০ রান করেন ঈশান।
গত ম্যাচে চোট পাওয়ায় রোহিত খেলতে পারেননি। ঈশান তাই সুযোগ পান বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তৃতীয় এক দিনের ম্যাচে। আর তিনি সেই সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি। ঈশান ১২৬ বলে ২১০ রান করেন। তিনি ভেঙে দিলেন ক্রিস গেলের রেকর্ড।ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের ওপেনার ১৩৮ বলে দ্বিশতরান করেছিলেন। সেটাই এত দিন এক দিনের ক্রিকেটে দ্রুততম দ্বিশতরান ছিল।
ঈশান চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসাবে এক দিনের ক্রিকেটে দ্বিশতরান করলেন।তাঁর আগে সচিন তেন্ডুলকর, বীরেন্দ্র সহবাগ এবং রোহিত শর্মার এক দিনের ক্রিকেটে দ্বিশতরান রয়েছে। যোগ হল সেই তালিকায় ঈশানের নামও। ঈশানের বাংলাদেশের মাটিতে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।এর আগে বিশ্বের কোনও ব্যাটার এক দিনের ক্রিকেটে বাংলাদেশে ২১০ রান করেননি।
মাত্র ১৫ রান যখন ভারতে তখন সাজঘরে ফিরে যান ধাওয়ান। সেইখান থেকে বিরাট এবং ইশান ২৯০ রানের জুটি গরলেন।১৩১ বলে ২১০ রানের ইনিংসে ঈশান মারেন ২৪টি চার এবং ১০টি ছক্কা। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন ঈশান। বিরাটও তাঁকে সুযোগ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এক দিকে ধরে রেখেছিলেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। সেই সময় ঈশান বাংলাদেশের ব্যাটারদের উপর আক্রমণ চালালেন। মাঠের বাইরে ফেললেন একের পর এক বোলারকে।
চট্টগ্রামের ম্যাচের কোন গুরুত্ব নেই সিরিজের খেলার দিক থেকে। কিন্তু ঈশান সেই ম্যাচকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বকাপের আগে নির্বাচকদের খাতায় নিজের নামটা তুলে রাখলেন। ধাওয়ান ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ।পরের সিরিজ়ে রোহিত ফিরলে তাঁর সঙ্গে যে তরুণ ঈশানকে দেখা যেতেই পারে। সে ক্ষেত্রে সাজঘরে বসতে হতে পারে ধাওয়ানকে। ঈশানও চাইবেন ধারাবাহিক ভাবে রান করে দলে নিজের জায়গা পাকা করতে।