Advertisement
প্রযুক্তি

সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি কিনতে যাচ্ছেন?‌ আজই জানুন এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলি

সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি কেনার আগে কিছু জরুরি কথা

কথায় বলে গাড়ি কেনা আর হাতি পোষা দুইই সমান। গাড়ি কেনার সময় আপনাকে কম ঝক্কি পোহাতে হয় না। বিভিন্ন সংস্থার গাড়ির তালিকা ঘেঁটে পছন্দের গাড়ি খুঁজে বের করা ও তারপর সমস্ত কাগজপত্র বুঝে নিয়ে শেষে অর্থ প্রদান সংক্রান্ত জটিলতা পেরিয়ে অবশেষে হাতে মেলে নতুন গাড়ির চাবি। আর পুরনো গাড়ি যদি কেনেন তারও একাধিক ঝামেলা তো রয়েছেই। তাই আজকে জেনে নিন সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে ঠিক কোন কোন বিষয়গুলি মাথায় রাখতে হবে।
যখনই আপনি আপনার পছন্দের সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়িটি হাতে পেলেন আপনার প্রথম কর্তব্য হলো গাড়ির সমস্ত কাগজপত্র ভালো মতো বুঝে নেওয়া। রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, পলিউশন সার্টিফিকেট এমনকি গাড়ির পূর্ববর্তী মালিক যদি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণের মাধ্যমে তা কেনেন সেক্ষেত্রে অবশ্যই নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দেখে নেবেন, নচেৎ ঋণের বাকি টাকা কিন্তু আপনাকে বহন করতে হবে। এর পাশাপাশি গাড়ির ইন্সুরেন্সের কাগজটি দেখতে ভুলবেন না। আপনার পছন্দের এই মডেলটি ইতিমধ্যেই কোনো দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে কিনা তা বোঝা যাবে গাড়ির ইন্সুরেন্সের কাগজ থেকেই। এই সমস্ত কাগজগুলি গাড়ির মালিকানা পরিবর্তনের কাজ সহজতর করতে সাহায্য করবে।
দ্বিতীয় হল গাড়ির রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটে নাম পরিবর্তন করা। এটা পুরোটাই আইনি প্রক্রিয়ার অন্তর্গত। তবে এই গাড়িটির যদি পূর্ববর্তী কোনো মালিকানা থাকে তবে অবশ্যই এর বর্তমান মালিকের থেকে গাড়ি বিক্রির ব্যাপারে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে রাখবেন। আর এই সমস্ত কাগজপত্র রিজনাল ট্রান্সপোর্ট অফিসে (আরটিও) জমা করলেই আপনি নিশ্চিন্ত। এমনকি এই গাড়িটির ইন্সুরেন্সের কাজেও আপনার নামে রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট থাকা বাধ্যতামূলক। ভবিষ্যতে যদি পুনরায় আপনি এই গাড়িটি বিক্রি করতে চান সেক্ষেত্রেও বৈধ ইন্সুরেন্সের কাগজ প্রয়োজন হয়।
তৃতীয় ধাপ হল রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটে নাম পরিবর্তনের কাজ সম্পন্ন হবে তখন আপনার এই শখের গাড়িটির বীমা করিয়ে নিতে ভুলবেন না। তবে আরসি–তে নাম পরিবর্তন করার পরেও যদি ইন্সুরেন্স এর পলিসির কাগজে পূর্ববর্তী মালিকের নাম নথিবদ্ধ থাকে সেক্ষেত্রে তা কিন্তু কোন কাজেই আসবে না। তখন গাড়ির ইন্সুরেন্স প্রণেতা সংস্থার কাছে গিয়ে বীমার কাগজটি আপনার নামে পরিবর্তন করাতে হবে। তবে পুরনো সংস্থা বাদ দিয়ে নতুন সংস্থার থেকে করালে এই সমস্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
চতুর্থ ও শেষ ধাপ হল নতুন কেনা সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়িটি কোনো দক্ষ মেকানিক কিংবা সংস্থার কাছ থেকে সার্ভিস করে নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। হয়তো পূর্ববর্তী গাড়ির মালিক বিক্রি করার পূর্বে গাড়িটির যথাযথ সার্ভিস করানোর ব্যাপারে কার্পণ্য করেছেন। তাই গাড়ি চড়া শুরুর আগে ইঞ্জিন অয়েল কিংবা ফিল্টার পরিবর্তনের কাজগুলি করিয়ে নেওয়াটাই ভালো। এমনকি বর্তমান পরিস্থিতিতে এমন ধরনের ব্যবহৃত গাড়ি কেবিন নতুন করে ব্যবহারের আগে ভালোমতো পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করে নেওয়াই শ্রেয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Adblock Detected

Please Turn Off Your Ad Blocker.