পুরনিগমের মেয়র ভোটের সময় আপ –বিজেপি কাউন্সিলয়ররা পরস্পর হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লে তুলকালাম বাঁধে।দুই যুযুধান শিবিরের লড়াইয়ে জখম হন বেশকয়েকজন আপ ও বিজেপি কাউন্সিলর।
পুরনির্বাচনে শোচনীয় ফল হয় বিজেপির। শাস্তির খাঁড়া নেমে আসে দিল্লি বিজেপি আদেশ গুপ্তার ওপর।ডামাডোলের বাজারে বিজেপি গণতন্ত্রের লড়াইতে না পেরে উঠতে পেরে ক্ষমতার দম্ভ দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ আম আদমি পার্টির।কারণ তাঁদের অভিযোগ,বারবার কেন্দ্রীয় শক্তি ধাক্কা খাওয়ার পর মারমুখী হয়ে উঠেছে।গণ্ডগোলের মাধ্যমে ঘোলাজলে মাছ ধরার ছক কষার অভিযোগ নিয়ে সম্মুখ সমরে নেমেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ। আর হিংসার চোরাস্রোতে রাজধানী দিল্লি অস্থির হয়ে উঠেছে।
আম আদমি পার্টির প্রবীণ আপ কাউন্সিলর প্রবীণ কুমার অভিযোগ করেন,বিজেপির ক্যাডাররা গাজোয়ারি রাজনীতি করে মেয়র নির্বাচনকে অশান্ত করে তোলে।আপের যুক্তি, নির্বাচিত কাউন্সিলরদের পরিবর্তে মনোনীত সদস্যদের শপথ গ্রহণের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করার পরই নেমে আসে আক্রমণ।আপের আরও দাবি,সেসময় বিজেপি কাউন্সিলররা একটি মোমেন্টো আপ কাউন্সিলরদের দিকে ছুঁড়ে দেয় । যদিও আপ কাউন্সিলরের এই দাবি মানতে চাননি, দিল্লির বিজেপি সাংসদ মনোজ তিওয়ারি। মেয়র নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত বুঝে আপ কাউন্সিলররা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বলে দাবি করেন বিজেপি সাংসদ। প্রসঙ্গত, ২৫০ আসনের দিল্লি পুরনিগমে মেয়র পদে জয়ের জন্য প্রয়োজন ১২৬ জন কাউন্সিলরের সমর্থন। ডিসেম্বরের গোড়ায় পুরভোটে ১৩৪টি ওয়ার্ডে জিতে ‘ম্যাজিক ফিগার’ ছুঁয়ে স্পর্শ করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের আম আদমি পার্টি। ক্ষমতাসীন বিজেপি পায় ১০৪ টি আসন। ৯টি ওয়ার্ডে জয়ী হয় কংগ্রেস প্রার্থীরা।আপের বিধায়ক সৌরভ ভরদ্বাজ বলেন,সাধারণতঃ সিনিয়র মোস্ট সদস্যরাও প্রোটেম স্পিকার বা প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে মনোনীত হয়। কিন্তু বিজেপি সেই ঐতিহ্যকে অমান্য করে পেশিশক্তি দেখাচ্ছে।দুই তরফের হাতাহাতি টেবিল ছোঁড়াছুড়ি দেখে দিনের মতো মেয়র নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়।