টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ২৮তম ম্যাচে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে শেষে ৩ রানে জয় পায় বাংলাদেশ। ম্যাচ তো শেষ হয়ে গিয়েছিল আগেই। কিন্তু তারপরেই নাটকীয় মোড়। একটি বল খেলার জন্য ফের মাঠে নামতে হয় দু’দলকে।
এদিন জয়ের জন্য শেষ বলে জিম্বাবোয়ের দরকার ছিল ৫ রান। সেই বলেই স্টাম্পড আউট হয়ে যান রিচার্ড গাভারা। ৪ রানে ম্যাচ জিতে উচ্ছ্বাসে মাতে শাকিব আল হাসানের দল। ব্যাটিং বিপর্যয়ের ধাক্কা সামলে আশা জাগিয়েও জিততে না পেরে হতাশায় মাঠ ছাড়লেন জিম্বাবোয়ের ক্রিকেটাররা। এরপর মাঠ থেকে বেরিয়ে যায় দুই আম্পায়ারও। শুধু তাই নয়, খেলা শেষে মাঠের পরিচর্যা করতেও নেমে পড়েন মাঠকর্মীরা। এরপরই নাটকের শুরু।
তৃতীয় আম্পায়ার জানান খেলা শেষ হয়নি। আরও অন্তত একটি বল খেলতেই হবে দু’দেশকে। কিন্তু কেন? তৃতীয় আম্পায়ার জানান শেষ বল ‘নো’ হয়েছে। ভুল বোলার মোসাদ্দেক হোসেনের নয়। দোষ করেছেন উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান। গাভারাকে দ্রুততার সঙ্গে স্টাম্প আউট করতে গিয়েই বিপত্তি ঘটিয়েছেন তিনি। বল উইকেট পর্যন্ত পৌঁছনোর আগেই তালুবন্দি করেন তিনি। অর্থাৎ, স্টাম্পের সামনে থেকে বল সংগ্রহ করেন নুরুল। এ কারণেই সেটি ‘নো’ বল।
তৃতীয় আম্পায়ারের নির্দেশে চার মিনিট পর ফের মাঠে নামেন দু’দলের ক্রিকেটাররা। দুই ফিল্ড আম্পায়ারকে এবং মাঠকর্মীদের মাঠ ছাড়তে হয়। নুরুলের একটা ছোট্ট ভুলই রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয় শাকিবদের। তখন জয়ের জন্য জিম্বাবোয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১ বলে ৪ রান। সেই বল আবার ফ্রি হিট। এমন পরিস্থিতিতে যে কোনও ব্যাটারই বেপরোয়ার হবেন।
এমতাবস্থায় পাল্টা চাল দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সব ফিল্ডারকে পাঠিয়ে দেন বাউন্ডারি লাইনে। ১,২ রান দিতে তিনি রাজি। কিন্তু কিছুতেই বাউন্ডারি হতে দেওয়া যাবে না। জিম্বাবোয়ের সামনে একটাই রাস্তা খোলা ছিল। আর তা হল, বলকে আকাশপথে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া।
কিন্তু তা করতে সক্ষম হননি ব্লেসিং মুজারাবানি। সজোরে ব্যাট চালিয়েও কোনো লাভ হয়নি। মোসাদ্দেকের বল লাগল সোজা উইকেটে। জিম্বাবোয়ের ব্যাটাররা দৌড়ে রান নিয়ে বাংলাদেশকে সেরকম বিপদে ফেলতে পারেনি। শেষ পর্ষন্ত জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ৩ রানে ম্যাচ জিতে যায় টাইগাররা।