ভাগ্য সুপ্রসন্ন হচ্ছে না বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের। মোষ, গরুর পর এ বার ষাঁড়ের সঙ্গে ধাক্কা লাগল এই তীব্র গতিসম্পন্ন ট্রেনটির। শনিবার মুম্বই সেন্ট্রাল থেকে গুজরাতের গান্ধীনগরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল ট্রেনটি। মাঝপথে মুম্বই সেন্ট্রাল ডিভিশনে একটি ষাঁড়ের সঙ্গে ধাক্কা লাগে এই এক্সপ্রেসের।
ঘটনায় আরো একবার এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনের সামনের অংশটি বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে খুব দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত অংশটি মেরামত করার কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। এ প্রসঙ্গে পশ্চিম রেলের প্রধান জনসংযোগ আধিকারিক সুমিত ঠাকুর এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, মুম্বই সেন্ট্রাল ডিভিশনে অতুল এলাকার কাছে যখন ট্রেনটি যাচ্ছিল, সে সময়ই ষাঁড়ের সঙ্গে ধাক্কা লাগে।
ঘটনাটি ঘটে শনিবার সকাল ৮টা ১৭ মিনিট নাগাদ। যার জেরে প্রায় ১৫ মিনিট দাঁড়িয়েছিল ট্রেনটি। বর্তমানে ট্রেনটি নির্দিষ্ট গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। ইঞ্জিনের সামনের অংশটির সামান্য ক্ষতি হলেও বড়সড় বিপত্তি ঘটেনি বলেই জানিয়েছেন রেলের আধিকারিকরা।
এর আগেও একাধিক বার যাত্রাপথে বিপত্তি ঘটেছিল বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের। অতীতে মোষের পালকে ধাক্কা মেরেছিল এই ট্রেন। সেই ঘটনার পর একটি গরুকেও ধাক্কা মারে এক্সপ্রেসটি। যার জেরে ট্রেন চলাচলও বিঘ্নিত হয়।
এসবের পর আবার ট্রেনের চাকায় গোলমাল ধরা পড়ে। চলতে চলতে আচমকাই ট্রেনের চাকা আটকে গিয়েছিল। রেল সূত্রে জানা গিয়েছিল, চাকায় সমস্যা ধরা পড়ার পরই কর্মীরা দিল্লি থেকে বারাণসীগামী ট্রেনটিকে থামিয়ে দেন এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে খবর দেন। মেরামতির পর কর্মীরা ট্রেনটিকে নিয়ন্ত্রিত গতিবেগে ২০ কিলোমিটার দূরে খুরজা স্টেশনে নিয়ে আসেন। সেখানেই বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রীদের ট্রেন থেকে নামিয়ে শতাব্দী এক্সপ্রেসে তুলে দেওয়া হয়।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেসকে দেশের দ্রুততম ট্রেন বলা হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গান্ধীনগর-মুম্বই বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করেছেন তার বেশি দিন হয়নি। নভেম্বর মাসে পাঁচ নম্বর বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনের কথাও রয়েছে মোদির। ওই ট্রেনটি চলবে চেন্নাই-মহীশুর-বেঙ্গালুরু রুটে। কিন্তু তার আগেই যে ভাবে বার বার বিপত্তি ঘটছে বন্দে ভারতের যাত্রাপথে, তাতে এই ট্রেন ঘিরে দেখা দিচ্ছে আশঙ্কার মেঘ।