ফের বিস্ফোরক দাবি করলেন আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। হিজাব পরা কোনো মেয়েই একদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী হবে বলে মন্তব্য করেলেন নিখিল ভারত মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। ঋষি সুনক প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারকে চাপে রাখতে তিনি এই মন্তব্য করেছেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এদিন মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের প্রধান ওয়াইসি বলেন, ‘আমার কথা মিলিয়ে নেবেন, একদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসবেন কোনও হিজাব পরিহিতা মহিলা। ভারতেও সংখ্যালঘু রাষ্ট্রপ্রধান নির্বাচিত হবেন। ঠিক যেভাবে ব্রিটেনে ঋষি সুনক এসেছেন, আমেরিকায় কমলা হ্যারিস এসেছেন, ঠিক ভারতেও এই ঘটনা ঘটবে।’
ওয়াইসিই ছাড়াও একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এই দাবি তুলেছেন। কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহেবুবা মুফতি বলেন, ‘এটা আমাদের কাছে খুব গর্বের বিষয় যে ব্রিটেনে প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছে। প্রত্যেক ভারতবাসীরই এই বিষয়ে গর্ব করা উচিত। ব্রিটেন একজন সংখ্যালঘু রাষ্ট্রপ্রধানকে স্বীকার করে নিলো। অপর দিকে আমরা, সিএএ, এনআরসির মতো আইনকে সামনে এনে বিভেদকে প্রশ্রয় দিচ্ছি।’
মুফতির এই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়ে বিজেপি সাংসদ রবি শংকর বলেন, ‘এই একই দাবি যদি মেহেবুবা মফতিকে করা, যে কাশ্মীরে সংখ্যালঘু মুখ্যমন্ত্রী কি তিনি মেনে নেবেন?’ বিজেপি নেতা আরও বলেন, ’ঋষি সুনক ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই বেশ কিছু সংখ্যালঘু নেতা অতিসক্রিয় হয়ে উঠেছেন। তাঁরা ভারতে সংখ্যা গরিষ্ঠের শাসন চলছে বলে দাবি করছেন। তাঁদের মনে করিয়ে দিতে চাই এ দেশেই আব্দুল কালাম রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। ১০ বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন মনোমোহন সিং। শুধু তাই নয়, এই মুহুর্তে দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু একজন আদিবাসী সম্প্রদায় ভুক্ত।’