সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে শুভেন্দু অধিকারীর গড় নন্দীগ্রামে বিজেপির অন্দর মহলে ভাঙন। গতকাল (শনিবার) নন্দীগ্রামে গণইস্তফা দিয়ে বসলেন আদি বিজেপির বহু নেতা। এই ঘটনার পর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
কিন্তু কেন এই গণইস্তফা? দলত্যাগ করা বিজেপি নেতাদের দাবি, “বিজেপিতে থাকাকালীন যে সকল মানুষদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন সকলে, তারাই বর্তমানে বিজেপি চালিয়ে যাচ্ছে আর সেই কারণে দলে থাকা তাদের পক্ষে আর কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তৃণমূলে থাকার সময় শুভেন্দু অধিকারীর নাম নিয়ে যারা সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার করেছিল, তারাই বর্তমানে বিজেপির মাথার উপর বিরাজ করছে।”
এক সাংবাদিক বৈঠকে দলত্যাগ করা দুই নেতা জয়দেব দাস এবং বটকৃষ্ণ দাস বলেন, “বিজেপি ছাড়তে চলেছি। তবে এখন অন্য কোন দলে যোগদান করার কথা ভাবিনি। দলের অন্দরে অনেক চোর নেতা রয়েছে। সেই কারণেই আর থাকলাম না। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে যারা আমাদের নেতা কর্মীদের মারধর করার পাশাপাশি অত্যাচার করেছিল, তারাই এখন শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে দলে প্রবেশ করেছে। সেই সকল নেতারা আমাদের মত আদি নেতাদের ক্রমাগত কোণঠাসা করে চলেছে।”
পাশাপাশি তারা বলেন, “মানুষের টাকা লুট করা, তাদের বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার মত মানুষ বর্তমানে বিজেপি চালাচ্ছে। এতে আমাদের মত নেতারা ক্রমাগত কোণঠাসা হয়ে চলেছে। সম্প্রতি জেলা সভাপতির তরফ থেকে আমাদের একটি চিঠি পাঠানো হয়, যা আমাদের কাছে অপমানজনক বলে মনে হয়েছে। দলের ভিতর এ সকল ঘটনা ঘটে চলেছে। তারপর আর থাকা যায় না।”
বিজেপি নেতাদের গণইস্তফা প্রসঙ্গে তমলুক জেলার বিজেপি সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সম্প্রতি দলের শৃঙ্খলা ভাঙ্গার জন্য কয়েকজন নেতাকে শোকজ করা হয়েছিল। সেই কারণেই বর্তমানে এহেন কর্মকাণ্ড ঘটানো হচ্ছে।”