করুণাময়ী কাণ্ডের প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রীকে সম্মিলিতভাবে লিখিত বিবৃতি প্রকাশ করেন ১৩ জন বিশিষ্ট নাগরিক। এই নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্যের করলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, ‘তাঁদের অন্যরকম উদ্দেশ্য থাকতে পারে, পলিটিক্যাল এজেন্ডা থাকতে পারে। থাকতেই পারে।’
শুক্রবার অভিনেত্রী অপর্ণা সেন, সমাজকর্মী বিনায়ক সেন, চিকিৎসক কুণাল সরকার, নাট্য ব্যক্তিত্ব বিভাস চক্রবর্তী, সুমন মুখোপাধ্যায়, সুজন মুখোপাধ্যায়, বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য, রেশমী সেন, ঋদ্ধি সেন, কৌশিক সেন সহ ১৩ জন বিশিষ্ট নাগরিক করুণাময়ীতে জোর করে চাকরিপ্রার্থীদের তুলে দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লেখেন।
বিশিষ্ট নাগরিকদের দেওয়া ওই চিঠিতে লেখা হয়, ‘সংবাদমাধ্যমে আমরা দেখেছি যে অনশনরত চাকরিপ্রার্থীদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য কী ভাবে বিধাননগর পুলিস বলপ্রয়োগ করে তাদের আন্দোলনকে ভাঙার চেষ্টা করেছে। এই ঘটনাকে আমরা ধিক্কার জানাই। পশ্চিমবঙ্গের নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকারে হস্তক্ষেপ বলে মনে করি।’
তবে নির্দিষ্ট একটি আন্দোলনের ভিত্তিতে এই প্রতিবাদকে কয়েকজনের বিশিষ্টজনের ‘ব্যক্তিগত মত’ বলে দাবি করেন বিমান। বিধানসভার স্পিকারের কথায়, “রাস্তায় তো আমরাও নামি, রাস্তায় নেমে আমরাও তো অনেক আন্দোলন করি। বেছে বেছে কিছু, কিছু আন্দোলনে অংশগ্রহণ করা এটা তাঁদের ব্যক্তিগত ব্যাপার।”
শুক্রবার রাতে বারাসাতের নবপল্লির কালীপুজোর উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে বিমানবাবু বলেন, ‘চাকরির দাবি সবাই করতে পারেন। কিন্তু ন্যায্য বা কোনটা অন্যায্য, তা ঠিক করার জন্য আমাদের শিক্ষা মন্ত্রক রয়েছে, রাজ্য সরকার রয়েছে, আদালত রয়েছে। এ ব্যাপারে আমার কিছু বলাটা সমীচিন বলে মনে করি না।’