বঙ্গে এখন উৎসবের মরশুম। এমতাবস্থায়ও রাজ্যে কোনো না কোনো রাজনৈতিক বিতর্ক চলছে। সম্প্রতি শোভন চট্টোপাধ্যায়কে ‘ভাঁড়’ বলে কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার সেই কটাক্ষের পালটা দিলেন শোভনের বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর স্পষ্ট জবাব, “ভাঁওতাবাজি, ভণ্ডামির চেয়ে ভাঁড়ামো অনেক ভাল।”
গত রবিবার লক্ষ্মীপুজো উপলক্ষে কাঁথির ‘শান্তিকুঞ্জ’ অর্থাৎ অধিকারী পরিবারের বাসভবনে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁকে ফুলের স্তবক দিয়ে স্বাগত জানান শুভেন্দু অধিকারী। এদিন অধিকারী বাড়িতে খাওয়দাওয়া করেন সুকান্তবাবু। এরপর তাঁকে বিদায় জানাতে এসে সাংবাদিকদের সামনে শুভেন্দু আচমকাই বলেন, “নন্দীগ্রাম না হলে উনি মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন না।”
শুভেন্দুর এই মন্তব্যের সমালোচনা করে সরব হন তৃণমূলের পুরনো সৈনিক শোভন চট্টোপাধ্যায়। শুভেন্দুকে ‘মিথ্যাবাদী’ বলে কটাক্ষ করেন তিনি। বিজেপি নেতা পালটা আক্রমণে শোভনকে ‘ভাঁড়’ বলে কটাক্ষ করেন। বুধবার সন্ধ্যা বেলায় শুভেন্দু অধিকারীকে জবাব দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। ভিডিওর শুরুতেই তাঁর সপাট জবাব, “ভাঁওতাবাজি, ভণ্ডামির চেয়ে ভাঁড়ামো অনেক ভাল।”
একইসঙ্গে শোভনবাবুর বান্ধবী বৈশাখী বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্নেহ ছিল বলেই মন্ত্রী হতে পেরেছিলেন শুভেন্দু। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে ট্রেনিং দিয়েছিলেন। তাই আজকে বিরোধী দলনেতা হতে পেরেছেন।” শোভনের সঙ্গেও শুভেন্দুর তুলনা করে তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপমান করার কোনও অধিকার আপনার নেই। উনি তো দূরে থাক, শোভনের মতো চুনোপুঁটি নেতাদের রাজনীতিতে যা অবদান রয়েছে, তাও আপনাদের নেই।”
বৈশাখীর এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “উনি সুন্দরী, শিক্ষিতা। ওঁর কথা শুনতে ভালই লাগে। তবে ছন্দে ছন্দে কথাগুলো বললে আরও ভাল লাগত।”