শহরের বুকে গড়ে উঠতে চলেছে আরেকটি ব্রিজ।
হাওড়া ব্রিজ, দ্বিতীয় হুগলি সেতু এবং দ্বিতীয় বিবেকানন্দ সেতুর পর গঙ্গা-ভাগীরথীর উপর তৈরি হবে আরেকটি নতুন সেতু। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় বারাণসী-কলকাতা এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের আওতায় নতুন এই সেতুটি তৈরির বিষয়ে প্রাথমিক ভাবে সম্মতি দিয়েছে কেন্দ্র।
বারাণসী-কলকাতা এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প ছাড়াও রক্সৌল-হলদিয়া, খড়্গপুর-মোড়গ্রাম পরিকল্পনাও চূড়ান্ত করেছেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। সব মিলিয়ে বাংলা সড়ক পরিকাঠামো খাতে কেন্দ্রের কাছ থেকে অন্তত ৫০ হাজার কোটি টাকার সুবিধা পাবে। সেই সুবাদেই তৈরি হবে নতুন সেতু। বারাণসী-কলকাতা এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের পরিকল্পনা অনেক দিন আগেই করেছিল কেন্দ্র।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, আগের পরিকল্পনা অনুযায়ী, বাগনানে ছ’নম্বর জাতীয় সড়ক (বম্বে রোড, এখনকার পরিচিতি জাতীয় সড়ক-১৬)-এর সঙ্গে মেশার কথা ছিল সেই এক্সপ্রেসওয়ের। এ রাজ্যের যুক্তি ছিল, বম্বে রোডে মিশলে সেখান থেকে কলকাতামুখী যান চলাচল সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়। সেই যুক্তিতেই হুগলি নদীর উপরে আর একটি সেতুর প্রস্তাব দিয়েছিল রাজ্য সরকার।
চাহিদার বুঝেই সেই প্রস্তাবে সাড়া দেয় কেন্দ্র। এখনকার পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রায় ৬২০ কিলোমিটার দীর্ঘ বারাণসী-কলকাতা এক্সপ্রেসওয়ে পুরুলিয়া দিয়ে বঙ্গে ঢুকবে। পুরুলিয়া-বাঁকুড়া
-পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল, গড়বেতা দিয়ে বম্বে রোডে উলুবেড়িয়া-বাগনান হয়ে আসবে কলকাতার দিকে। কলকাতার সঙ্গে এক্সপ্রেসওয়েটিকে যুক্ত করতে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর দক্ষিণে বাটানগর-
বজবজ-পুজালি বা বন্দরের কাছাকাছি সুবিধাজনক কোনও এলাকায় নতুন সেতু তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে রাজ্য সরকার।
কেন্দ্রের এক শীর্ষ কর্তা এবিষয়ে বলেন, “কেন্দ্র প্রাথমিক সম্মতি দেওয়ায় এ বার সবিস্তার প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি হবে। তার ভিত্তিতেই চূড়ান্ত ছাড়পত্র দেবে কেন্দ্র। এ রাজ্যে নতুন সড়কের দৈর্ঘ্য হবে ২৭৫-২৯০ কিলোমিটার। এই প্রকল্পে রাজ্যে খরচ হবে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা।” এক কর্তার কথায়, “ইতিমধ্যে কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে এলিভেটেড বা উড়ালপথ পরিকাঠামো তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। তাতে প্রায় ১৫০০ কোটি টাকা খরচ হবে। সেটির সঙ্গে নতুন প্রকল্প মানুষকে অনেক বেশি স্বস্তি দেবে।”