দীর্ঘ ৬ বছর পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ভাইফোঁটা নিতে গেলেন দলের বর্ষীয়ান নেতা মুকুল রায়। সঙ্গে গেলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক দূরত্ব ভুলে এই ‘রিইউয়নে’ খুশি সকলেই।
২০১৯ সালে শেষবার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে জাঁকজমকপূর্ণভাবে ভাইফোঁটা আয়োজিত হয়েছিল। তারপর গত ২ বছর করোনা মহামারীর কারণে আর সেভাবে অনুষ্ঠান হয়নি। এবছর ফের একবার উৎসবে মাতল ৩০ বি, হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাড়ি। একে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী ‘পারিবারিক অনুষ্ঠান’ বলেছেন। যেখানে সকলের নজর কাড়লেন মুকুল রায়, শোভন চট্টোপাধ্যায়, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা নেত্রীরা।
এ প্রসঙ্গে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”শোভন ভাইফোঁটা পেল, আমি আশীর্বাদ পেলাম। মমতার মমত্ব এত বেশি, উনি সবাইকে খাওয়াচ্ছেন। ওঁদের মধ্যে একটা টান সবসময় রয়েছে। ভাইবোনের এই সম্পর্ক ছিলই, মাঝে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। অভিমানের মেঘ কেটে গিয়েছে। এটাই সবচেয়ে ভাল।”
গত বছরও শোভন-বৈশাখী একসঙ্গে ভাইফোঁটায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। ফোঁটা নিয়ে হাতভরা উপহার নিয়ে ফিরেছিলেন। সেবার থেকেই উভয়ের সম্পর্ক ফের স্বাভাবিক হতে শুরু করে। আর এবছরও প্রিয় ‘কানন’কে ভাইফোঁটা দিয়ে আশীর্বাদ করলেন ‘দিদি’।
অন্যদিকে মুকুল রায় ৬ বছর পর ফোঁটা নিতে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গেলেন। ২০১৬ সালে শেষ বার ‘দিদি’র থেকে ফোঁটা নিয়েছিলেন মুকুল। এবছর ভাইফোঁটার দিন আবার তাঁর দেখা মিলল মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে। যেকারণে ফের জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে কি মুকুল ফের মমতার ঘনিষ্ঠ বৃত্তে ঢুকে পড়েছেন? পঞ্চায়েত ভোটের আগে কি তবে বড় কোনও দায়িত্ব পেতে চলেছেন মুকুল রায়?