গণ্ডারের শিকার ও চোরাচালান রুখতে ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার। তাতেই মিলল সাফল্য।অসম সরকারের তরফে জানানো হল, ২০২২ সালে একটিও একশৃঙ্গ গণ্ডার মারা পড়েনি।
বন্য প্রানীদের সংরক্ষিত করতে ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু তবুও কিছু কিছু ক্ষেত্রে পাচারকারী ও চোরাচালানকারীদের হাপটে হারিয়ে যাচ্ছে বহু বন্যপ্রাণ। বিশেষ করে বর্তমানে দেশে একশৃঙ্গ গণ্ডারের দেখা মেলে শুধু অসমেই। তাতেও পাচারকারী ও চোরাচালানকারীদের উপদ্রবে একশৃঙ্গ গণ্ডারের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা দায় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। পাচারকারী ও চোরাচালানকারীরা বিনা অনুমতিতে জঙ্গলে প্রবেশ করে গণ্ডারদের হত্যা করে কোটি কোটি টাকা কামায় পাচারকারীরা। লক্ষাধিক টাকায় বিক্রি হয় গণ্ডারের শিং। ইতিমধ্যেই একশৃঙ্গ গণ্ডার রক্ষায় একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার। আর তাতেই মিলল সাফল্য। অসম সরকারের তরফে জানানো হল, ২০২২ সালে একটিও একশৃঙ্গ গণ্ডার মারা পড়েনি। মঙ্গলবার অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানান, বিগত ২০ বছর বাদে এই সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, “হয়তো ২০-২৫ বছর বাদে অসমে গোটা বছরে একটিও গণ্ডারের শিকার হল না। শেষবার অসমে গণ্ডারের শিকার হয়েছিল ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর, গোলাঘাট জেলার হিলাকুণ্ডায়।”অসমের মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সশস্ত্র বাহিনী ও বনবিভাগের কর্মীদের কড়া নজরদারিতেই এই সাফল্য পাওয়া গিয়েছে। একইসঙ্গে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমেও অসম এই লক্ষ্য অর্জনে সফল হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।