ভ্রমণ প্রেমের মানুষরা একটু ছুটি পেলেই তাদের ইচ্ছে জাগে কোথাও একটা ঘুরে আসি। কেউ কেউ ছোট্ট তোর অথবা কেউ কেউ একটা লং ট্যুরের ভাবনা মনের মধ্যে গেথেই থাকেন। আবার কেউ বেরিয়ে পড়েন পরিবারের সঙ্গে আবার কেউবা একেবারে একলা। বাইরে বেরিয়ে প্রকৃতিক যেন এক নতুন রূপে আবিষ্কার করেন ভ্রমণপ্রেমী মানুষজন।
তবে অনেকেই পছন্দ করেন কাছে পিঠে যদি কোথাও ঘুরে আসা যায় তবে মন্দ নয়। তাতে সময়টাও কম লাগে এবং ঘোড়াও যায় অনেকখানি। সেরকমই কিছু জায়গার সন্ধান নিয়ে চলে এসেছি আমরা আপনাদের কাছে। কাছেপিঠে দেখার ভ্রমণের জন্য ঘাটশিলা (Ghatshila) কিন্তু অন্যতম একটি জনপ্রিয় স্থান। এখানে একাধিক দর্শনীয় স্থান রয়েছে, যা আপনার মন ভালো করে দেবে। তাই আর দেরী না করে দেখে নিন এমন কিছু ভ্রমণ স্থান।
ধারাগিরি ফলস (Dharagiri Falls)- ঘাটশিলা থেকে ৯ মিটার দুরে অবস্থিত ধারাগিরি পর্বত থেকে ২১ ফুট নিচে নেমে আসছে এই ঝর্ণা নদী। এই পাহাড়ী বনাঞ্চলের মধ্যেই রয়েছে একটি কালী মন্দির। যারা একটু অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করেন, তাঁরা হাওড়া থেকে ট্রেনে করে ঘাটশিলা গিয়ে, স্টেশন থেকে অটো করে পৌঁছে যেতে পারবেন এই ধারাগিরি ফলসে।
গালুডিহি ব্যারেজ (Galudih Barrage/Dam)- ঘাটশিলাতের অবস্থিত এই ব্যারেজ সূর্যাস্তের সময় খুবই সুন্দর দেখতে লাগে। এখানে গিয়ে আপনি প্রকৃতির অপরূপ রূপ দেখতে পাবেন।
রাতমোহনা জলপ্রপাত (Ratmohona Falls)- ঘটশিলায় আরও একটি ভ্রমণ স্থান হল এই রাতমোহনা নদী। সরু নদীর জল এসে সূবর্ণরেখা নদীতে ঝড়নার মতো আঁচড়ে পড়ার কারণেই, এর নাম রাতমোহনা জলপ্রপাত। বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের প্রিয় এই স্থানের ঝরনার জলে আপনি স্নান করে তৃপ্তি অনুভব করতে পারবেন।
সুবর্ণরেখা নদী (Subarnarekha River)- কথিত আছে, জল শুকিয়ে গেলে নাকি এই নদীর জলে সোনা পাওয়া যেত। সেই কারণেই এই নদীর নাম সুবর্ণরেখা নদী। নদীর পাশের লম্বা লাল রাস্তা, আপনাকে গ্রাম্য সৌন্দর্য্য উপভোগ করাবে।
ফুলডুংরী টিলা (Phuldungri Hill)- ঘাটশিলা থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই টিলার মাথায় উঠতে গেল একটি সর্পিলাকার রাস্তা পেরোতে হয়। আর এই পাহাড়ের চূড়া থেকেই আপনি সমগ্র ঘাটশিলার সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারবেন।