Advertisement
অফবিট

ঘুমিয়ে জিতে নিলো ৬ লাখের পুরস্কার এই মেয়ে

গোটা বিশ্বে প্রতিদিন মানুষ আলাদা আলাদা রেকর্ড তৈরি করে। রেকর্ড বলতে এখানে এমন কোনো কাজকে বলা হচ্ছে যা প্রথমবার করা হয়েছে এবং আগে কখনো কেউ এমন কাজ করতে পারেনি বা আগে এরকম জিনিস ঘটেনি কখনো তখন সেটিকে রেকর্ড গড়া বলা হয়। এই রেকর্ড গুলির মধ্যে কিছু এমন রেকর্ড থাকে যা গিনিস বুক অফ ওয়ার্ড রেকর্ডে দাখিলও হয়। আর এই রেকর্ডগুলি কিছুও হতে পারে। যেমন কোনো মহিলা একসাথে ১০টা বাচ্চা জন্ম দিয়েছে, কেউ অনেক বেশি খাওয়ার খেতে পারে যা অন্য আজ পর্যন্ত কেউ খেতে পারেনি, কেউ অনেক বেশি ঘুমোতে পারে যা আজ পর্যন্ত কেউ পারেনি ইত্যাদি। আজ আমরা আমাদের আর্টিকেলে ঘুম নিয়ে রেকর্ড ব্রেক করেছে এমন এক যুবতীর বিষয় আলোচনা করবো। আসুন এই যুবতীর বিষয় জেনেনি।

পশ্চিমবঙ্গের হুগলিতে বসবাসকারী এক তরুণী সেরা স্লিপারের খেতাব জিতেছেন এবং ৫ লাখ টাকা পুরস্কার পেয়েছেন। এই তরুণীর নাম হলো ত্রিপর্ণা চক্রবর্তী। ৪.৫ লাখ লোকেদের হারিয়ে ত্রিপর্ণা এই প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়েছিলেন। ত্রিপর্ণা জানিয়েছেন যে তিনি একটি অনলাইন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানতে পেরেছিলেন যে সর্বভারতীয় স্তরে এমন একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে। তারপর তিনি প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন।

জানিয়ে দি যে এই প্রতিযোগিতায় মোট ৪.৫ লক্ষ মানুষ আবেদন করেছিল যার মধ্যে ১৫ জন প্রতিযোগীকে নির্বাচিত করা হয়েছিল। এর মধ্যে শেষ পর্যায় অর্থাৎ ফাইনাল পর্যন্ত মাত্র ৪ জনকে নির্বাচিত করা হয়েছিল। ফাইনালে তিনি সেই চারজনকে হারিয়ে সেরা স্লিপারের শিরোপা জিতেছেন। তথ্য অনুসারে এই প্রতিযোগিতায় প্রতিটি প্রতিযোগীকে একটি ম্যাট্রেস এবং স্লিপ ট্র্যাকার দেওয়া হয়েছিল।

প্রতিযোগিতায় প্রত্যেক প্রতিযোগীকে তাদের ঘুমের দক্ষতা দেখাতে বলা হয়েছিল। ত্রিপর্ণা টানা ১০০ দিন ৯ ঘন্টা ঘুমানোর রেকর্ড তৈরি করেছে ও প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়েছে। এই প্রতিযোগিতায় জেতার জন্য তিনি ৫ লক্ষ টাকা পুরস্কারও পেয়েছেন। তাকে এক লাখ টাকার ছয়টি চেক দেওয়া হয়েছে। ত্রিপনা চক্রবর্তী জানিয়েছেন যে ছোটবেলা থেকেই তিনি ঘুমাতে ভালোবাসতেন এবং যখনই ঘুমাতেন, বিনা দ্বিধায় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিতেন। বোর্ড পরীক্ষা থেকে ইন্টারভিউ পরীক্ষা পর্যন্ত অনেক সময় তিনি পরীক্ষা চলাকালীন ঘুমিয়ে পড়েছে এমনও হয়েছে।

বর্তমানে ত্রিপর্ণা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে কাজ করেন। কিন্তু তার কাজটি হোম বেসড হওয়ায় তিনি ভারতে বাড়ি বসেই নিজের কাজ করেন। আর তাই কাজ করার জন্য তাকে রাত জাগতে হয় কারণ ভারত ও আমেরিকার সময় আলাদা। সারা রাত জাগতে হয় বলে ত্রিপর্ণা সারাদিন ঘুমিয়ে নিজের ঘুম পূরণ করেন। বেস্ট স্লিপারের পুরস্কার যেতায় ত্রিপর্ণা অত্যন্ত খুশি ও তিনি নিজের উপর গর্ভবোধও করছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Adblock Detected

Please Turn Off Your Ad Blocker.