এই মুহূর্তে শুধু মামলার পর মামলা । তার জেরেই নিয়োগ প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত। স্পষ্ট নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। পরবর্তী শুনানি ৩০ শে নভেম্বর। শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত একজন শিক্ষককেও নিয়োগ করতে পারবেনা পর্ষদ । কর্ম শিক্ষা বিষয়ে এসএসসির (SSC) সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এমনই কড়া নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টে মহামান্য বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু । জানা গিয়েছে , এসএসসি ২০১৬ সালে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়। ২০১৭ সালের জুন মাসে কর্মশিক্ষার পরীক্ষা নেওয়া হয়। ২০১৮ সালের মার্চের ইন্টারভিউ হয়। এরপর চলতি বছরে কর্মশিক্ষা এবং শারীরশিক্ষায় অতিরিক্ত পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি (WB TET) দেয় এসএসসি। তারপরেই হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়।
প্রসঙ্গত এ বিষয়ে সোমা রায় নামে এক চাকরিপ্রার্থীর অভিযোগ, কর্মশিক্ষা বিষয়ে যে ওয়েটিং লিস্ট প্রকাশ হয়েছে তাতে তার নাম নেই। তিনি পরীক্ষায় ৭২ নম্বর পেয়েছেন। অ্যাকাডেমিক স্কোরে ২২ পাওয়ার পরে প্রাপ্ত নম্বর ৭৬ হওয়ার কথা। কিন্তু তাকে ৭২ নম্বর দেওয়া হয়েছে। এরপরই ওই চাকরি প্রার্থীর হয়ে উচ্চ আদালতে মামলা করেন দুই বামপন্থী (LEFT FRONT) আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও ফিরদৌস শামিম ।
জানা যায়, চাকরিহারাদের চাকরি দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুপার নিউমেরিক পোস্ট তৈরি করার ঘোষণা করেন। এই সুপার নিউমেরিক পোস্টের মাধ্যমে চাকরিহারাদের চাকরি দেওয়ার বন্দোবস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি শারিরশিক্ষা – কর্ম শিক্ষা বিষয়ে যারা সুপারিশ পেয়েছেন তাদের ক্ষেত্রেও নিয়োগের বিষয়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছেন মহামান্য বিচারপতি । তবে বাস্তব পরিস্থিতি যে আরও কঠিন থেকে কঠিনতর দিকে ধাবমান তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা । পাশাপাশি হাইকোর্টের নির্দেশ মতো আগামী ১ লা ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা ছাড়া গতি নেই আন্দোলনকারী চাকরি প্রার্থীদের ।