এই মুহূর্তে এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে আবেদনের ক্ষেত্রে লাগবে না আঁধার কার অথবা স্বাস্থ্য সাথী কার্ড । সরকারি সুত্রে খবর এমনটাই । সম্প্রতি নবান্নের তরফে জেলায় জেলায় এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । কিন্তু হঠাৎ লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে আবেদনের ক্ষেত্রে আঁধার কার্ড -এর বিষয়টি শিথিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল ? এবিষয়ে সরকারি সুত্র মারফৎ জানা গিয়েছে , সম্প্রতি গোটা রাজ্য জুড়েই চলছে দুয়ারে সরকার কর্মসূচী।
জানা যায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে হঠাৎই সিদ্ধান্ত বদলের কারণ হিসাবে জানা গিয়েছে , দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে যে মহিলারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে আবেদন করতে আসছেন তাদের মধ্যে অনেক মায়েদেরই আঁধার বা স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নেই । সে জন্য অগত্যা দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে আবেদন না জানিয়ে ফিরতে হচ্ছে তাদের । এটি জেরাজ্য সরকারের কাছে বেশ অস্বস্তির তা বলাই বাহুল্য। ইতিমধ্যেই বিষয় টি নিয়ে গোটা রাজ্য জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে । এই খবর বিদ্যুৎ গতিতে পৌঁছে যায় সদর নবান্নে । এরপরই সরকারি তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবার থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে আবেদনের ক্ষেত্রে আর আঁধার কার্ড কিংবা স্বাস্থ্য সাথী কার্ড বাধ্যতা মূলক নয় । সম্প্রতি রাজ্যের প্রতিটি জেলায় নবান্ন মারফৎ এই নির্দেশ ই দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদি ।
প্রসঙ্গত , মা-মাটি-মানুষ। এই স্লোগান কে হাতিয়ার করেই তিন -তিন বার রাজ্যের মসনদে তৃণমূল সরকার। নিন্দুকের কাজ নিন্দা করা। সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই মুখ্যমন্ত্রীর। যেন তেন প্রকারেণ রাজ্যের মানুষের মানুষের উন্নতি সাধনই এই সরকারের মূল লক্ষ্য। ইতিমধ্যেই গোটা রাজ্যের মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নতির কথা মাথায় রেখে প্রায় ৭০ টির ওপর জনমুখি প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিগত কয়েক বছর যাবত এই জনমুখি প্রকল্পগুলির কাজ চলছে জোর কদমে। গোটা রাজ্যের মানুষ এই প্রকল্পগুলি থেকে সুবিধাও পাচ্ছেন অকছর।