Advertisement
খেলা

প্রথমার্ধে শাসন চালালেও দ্বিতীয়ার্ধে হাত থেকে বেরিয়ে যায় ম্যাচ, কার ভুলে ম্যাচ হারল ইস্টবেঙ্গল তা স্বীকার করলেন কোচ কনস্ট্যান্টাইন নিজেই

ডার্বিতে জয় অধরা ইস্টবেঙ্গলের। গতকাল (শনিবার) এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে মাঠ জুড়ে শাসন চালিয়ে গেলেও দ্বিতীয়ার্ধে দুটি গোল খেয়ে ম্যাচ হারতে হয় লাল-হলুদ শিবিরকে। যে কারণে ম্যাচ শেষে একটু বিষন্ন দেখায় কোচ স্টিভন কনস্ট্যান্টাইনকে।

এদিন গোল করার সুযোগ ছিল ইস্টবেঙ্গলের। কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারেনি কনস্ট্যান্টাইনের দল। দ্বিতীয়ার্ধে গোলকিপার কমলজিৎ সিংহের একটা ভুলেই ম্যাচ হাত থেকে বেরিয়ে যায়। এবিষয়ে কনস্ট্যান্টাইন বলেন, “ফুটবল খেলা মানে সেখানে ভুল হবেই। কেউ না কেউ কোনও দিন ভুল করবেই। আজ হয়তো সেটা গোলকিপার করেছে। তার আগে প্রথমার্ধে আমরা বিপক্ষকে শাসন করেছি। আমরাই ভাল খেলেছি। গোল করার সুযোগ পেয়েছি। গোল করলে ম্যাচের ফলাফল অন্য রকম হতে পারত। প্রথম গোল খেয়ে যাওয়ার পর খেলাটা কঠিন হয়ে যায়। দ্বিতীয় গোল খাওয়ার পরেই বুঝেছিলাম ম্যাচ শেষ।”

এই ডার্বি নিয়ে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের মনে অনেক আশা। কনস্ট্যান্টাইন তাই সমর্থকদের ধৈর্য ধরতে বললেন। তাঁর কথায়, “বার বার বলেছি, দল, ম্যানেজমেন্ট সব কিছুই নতুন। সময় লাগবেই। আস্তে আস্তে আমরা উন্নতি করছি। ম্যাচের পরে আমরা ৫-৬ জন এটিকে মোহনবাগান ফুটবলারের সঙ্গে কথা হয়েছে। ওরাই বলছিল, সাম্প্রতিক কালে সবচেয়ে ভাল ইস্টবেঙ্গল দলের বিরুদ্ধে ওরা খেলল। ওদের ধন্যবাদ। তাও বলব, আমাদের অনেক ত্রুটি রয়েছে যেগুলো দ্রুত মেরামত করতে হবে। আমরা এই হার থেকে শিক্ষা নেব। আপাতত আমাদের ফোকাসে শুধু চেন্নাইয়িন ম্যাচ।”

পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গল কোচ যোগ করলেন, “এখনও তো অনেক বাকি। পাঁচটা ম্যাচ হয়ে গেলেই তো কেউ আর ট্রফি জিতে যায় না। আমাদের হাতে এখনও ১৬টা ম্যাচ রয়েছে। প্রতিটা ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে চাই। ভবিষ্যতের জন্য অনেক পরিকল্পনা মাথায় রয়েছে আমার। ফেব্রুয়ারির শেষে বলতে পারব আমাদের সম্ভাবনা কতটা।”

ম্যাচের প্রথমার্ধে জর্ডান ও’ডোহার্টিকে দু’বার বক্সের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়। তাঁর মধ্যে এক বার নিশ্চিত পেনাল্টি ছিল বলে বিশেষজ্ঞ থেকে ধারাভাষ্যকারদের দাবি। এ প্রসঙ্গে কোচের মন্তব্য, “আমি রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে খুব একটা ভাবি না। আমি সেটা নিয়ে কোনও অজুহাত দিতে চাই না। প্রথমার্ধে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমরা শাসন করেছি। দ্বিতীয়ার্ধে হঠাৎ সব কিছু বদলে গেল। আমার মতে, বুমোস সত্যিই ম্যাচের সেরা। দূর থেকে একটা শট নিয়েছিল। কী ভাবে গোল হয়ে গেল জানি না। তবে ওখান থেকে ফিরে আসা কঠিন ছিল। বুমোস, কাউকো বা আশিক, প্রীতমের মতো ফুটবলার থাকলে যে কোনও দলের কাজ সহজ হয়ে যায়। তা ছাড়া ওরা অনেক দিন ধরে খেলছে।”

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Adblock Detected

Please Turn Off Your Ad Blocker.