সাম্প্রতিককালে রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। ইতিমধ্যেই এই মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে ২৬৯ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে। তাদের মধ্যেই একজন চাকরি যাওয়ার পর অবসাদে ভুগতে থাকেন এবং অবশেষে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।
জানা গিয়েছে, সোনারপুরের বাসিন্দা বছর ছত্রিশের সৌরভ মিদ্যা ডায়মন্ড হারবারের কাছাকাছি লক্ষ্মীকান্তপুরের একটি স্কুলে ইতিহাসের শিক্ষক ছিলেন। সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে চাকরি হারান তিনি। এমনকি, তারপর থেকেই মানসিক চাপে ভুগছিলেন সৌরভ বাবু। পাশাপাশি, কারোর সাথে এমন কথাও বলতেন না তিনি।
ওই শিক্ষক বছরখানেক আগেই বিয়ে করেন। তার বাড়িতে রয়েছেন বয়স্ক বাবা-মা এবং স্ত্রী। জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে তিনি চাকরি পেয়েছিলেন। তবে, অত্যন্ত শান্ত স্বভাবের ওই শিক্ষক ভাইফোঁটার দিন সন্ধ্যে নাগাদ গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।
একটি সুইসাইড নোটও লিখেছিলেন তিনি। ইতিমধ্যেই সেটি উদ্ধার করা হয়েছে। ওই সুইসাইড নোটে তিনি লিখেছেন, “আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়”। যদিও এই ঘটনার পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।