গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত সায়গল হোসেনকে হেফাজতে নিতে সক্ষম হল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরট। শনিবার অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীকে এক সপ্তাহ ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির আদালত। যদিও এক্ষেত্রে দু সপ্তাহের জন্য হেফাজতের আবেদন করা হলেও পরবর্তীতে উচ্চ আদালতের নির্দেশই বহাল রাখল দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ কোর্ট।
গরু পাচার মামলায় প্রথমেই গ্রেফতার হন অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। এক্ষেত্রে একজন সাধারণ দেহরক্ষীর কাছে কোটি কোটি সম্পত্তির হদিশ পায় তদন্তকারীরা। এরপর সন্দেহের বশেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে হেফাজতে থাকার পর সম্প্রতি সায়গলকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করার জন্য আবেদন করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
কিন্তু ইডির এই আবেদন খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। পরবর্তীতে দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ কোর্ট তাদের আবেদনকে মঞ্জুরি দেয়। যদিও সায়গল হোসেনকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট কাঠখড় পোড়াতে হয় তদন্তকারীদের। আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম দিল্লি হাইকোর্ট এবং পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টে গেলেও উভয় আদালতেই খারিজ হয়ে যায় সায়গলের আবেদন।
শেষ পর্যন্ত গতকাল (শুক্রবার) বিকেলের দিকে আসানসোল থেকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয় সায়গল হোসেনকে। এক্ষেত্রে পুলিশের একটি বিশেষ দলের সঙ্গে রাজধানীতে নিয়ে যাওয়া হয় সায়গলকে। একইসঙ্গে দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, এক সপ্তাহের উপর সময় অভিযুক্তকে দিল্লিতে রাখা যাবে না।
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, সকাল ১১ টা থেকে ১ টা এবং দুপুর ৩ টা থেকে ৪ টের মধ্যে অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে। এক্ষেত্রে অভিযুক্তের আইনজীবীকেও হাজির থাকতে দিতে হবে। এদিন হাইকোর্টের রায়ই পুনর্বহাল রাখল দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ কোর্ট।