রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মাঝেমধ্যেই উপহাস করে বলেন, ‘লাল চুল, কানে দুল, তার নাম যুব তৃণমূল!’ এবার শুভেন্দু অধিকারীর সেই সুরেই সুর মেলালেন তৃণমূল বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী।
বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার তালড্যাংরার তৃণমূল বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী বলেন, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচন আসছে। যাঁরা মানুষের কাজ করবেন, তাঁরাই দলের টিকিট পাবেন।’ একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই পঞ্চায়েতে টিকিট পাওয়ার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ঘোষণা করেন।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের বলেছিলেন, কোনও নেতার তল্পিবাহক হয়ে টিকিট পাওয়া যাবে না। কেউ যদি ভাবেন নেতার জলের বোতল বয়ে দিয়ে টিকিট পাবেন তাহলে ভুল ভাবছেন। এদিন সভায় অরূপবাবু বলেন, ‘কানে মাকরি (বাঁকুড়ার স্থানীয় ভাষায় দুল)আর গলায় চেন থাকলে পঞ্চায়েতে টিকিট পাওয়া যাবে না। কেউ যদি ভাবেন মস্তানি করব, তাহলে দল তাকে টিকিট দেবে না।’
অরূপ চক্রবর্তী আরও বলেন, ‘যাঁরা এতদিন দুর্নীতি করেছেন তাঁরাও টিকিট পাবেন না। কারণ দল সবার পিছনেই সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়ে রেখেছে।’ দলের মধ্যে যে নেতারা দুর্নীতিগ্রস্থ তাঁদের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে বিধানসভায় সরব হওয়ার জন্য বিধায়ক বলেন, ‘কাদের জন্য আজকে শিক্ষক চাকরিপ্রার্থীরা রাস্তায় বসে রয়েছেন? যারা এই কাজ করেছিল আজ দল তাঁদের বিতাড়িত করেছে। কেউ কেউ জেলে আছে। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর সামনে বিধানসভায় আওয়াজ তুলব, দাগিদের সঙ্গে আর থাকব না। দুর্নীতিগ্রস্থ সবাইকে দল থেকে তাড়াতেই হবে।’
অরূপ চক্রবর্তীর এই মন্তব্যের জবাবে বিজেপির বাঁকুড়া জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডল বলেন, ‘বাঁকুড়া জেলায় যে দুর্নীতি হয়েছে তার সঙ্গে অনেকাংশেই অরূপ চক্রবর্তী যুক্ত রয়েছেন। এখন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে উনি নিজের ইমেজ পরিস্কার করতে নেমেছেন। কিন্তু বাঁকুড়ার মানুষ জানেন তৃণমূলের নেতাদের কী চরিত্র!’