ভারত এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে না গেলে ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেবে তারা। বিসিসিআই সচিব জয় শাহের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এমনটাই হুঁশিয়ারি দিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। হুমকি দিয়েছেন স্বয়ং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান রামিজ রাজা।
গতকাল (মঙ্গলবার) বিসিআই সচিব জয় বলেন, ‘‘আমরা পাকিস্তানে খেলতে যাব না। বরং এশিয়া কাপ নিরপেক্ষ দেশে হতে পারে। পাকিস্তানে দল যাবে কি না সেই সিদ্ধান্ত সরকার নেয়। সেটা নিয়ে আমরা কোনও মন্তব্য করব না। ২০২৩ সালের এশিয়া কাপ নিরপেক্ষ দেশে হবে।’’
জয় শাহের এই মন্তব্যে ক্ষোভ তৈরি হয় পাকিস্তান ক্রিকেট মহলে। প্রাক্তন ব্যাটার সইদ আনোয়ার এই নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সমালোচনা করেন। তার পরেই ভারতীয় বোর্ডকে পাল্টা হুমকি দিয়ে বার্তা দেন পিসিবি চেয়ারম্যান রামিজ রাজা।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের এক সিনিয়র সদস্য জানিয়েছেন, ‘‘পিসিবি কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। কঠিন ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। সকলেই জানে আইসিসি এবং এসিসির প্রতিযোগিতাগুলিতে কিছু বাণিজ্যিক দায় থাকে। বহু দলীয় প্রতিযোগিতাগুলিতে পাকিস্তান-ভারত খেলা না হলে বিপুল আর্থিক ক্ষতি হবে।’’
২০০৮ সালের পর বিরাট কোহলিরা আর পাকিস্তানে গিয়ে খেলেননি। অন্যদিকে পাকিস্তান শেষ বার ভারত সফরে এসেছিল ২০১২ সালে সাদা বলের ক্রিকেট খেলতে। পিসিবির এক মুখপাত্র বলেন, ‘‘এখনই আমরা কোনও মন্তব্য করতে চাই না। আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি। আগামী মাসে মেলবোর্নে আইসিসির বোর্ড মিটিংয়ে যথাযথ ভাবে বিষয়টি তুলব আমরা।’’
জয়কে নিয়ে পিসিবির এক কর্তা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘‘আমরা বুঝতে পারছি না জয় কী করে এক তরফা ভাবে প্রতিযোগিতা সরিয়ে নেওয়ার কথা বলতে পারেন। পাকিস্তানকে এশিয়া কাপ আয়োজনের দায়িত্ব দিয়েছে এসিসির এক্সিকিউটিভ বোর্ড। এসিসি সভাপতি দেননি। জয় কী ভাবে এমন কথা বলছেন?”
বিসিসিআই সচিবের এমন মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে এসিসিকে কড়া চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের কর্তারা ভারতীয় বোর্ডের কথা মতো চললে কঠোরতম পদক্ষেপ করতেও প্রস্তুত তাঁরা। প্রয়োজনে এসিসি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পথ খোলা রেখে এগোতে চান পিসিবি কর্তারা।
এবিষয়ে এক পাক ক্রিকেট কর্তা বলেন, ‘‘দরকারে আমরা এসিসি থেকে বেরিয়ে আসার কথা ভাবব। পিসিবি বিশ্বাস করে এসিসি গঠিত হয়েছিল, বিশ্বের এই অঞ্চলে ক্রিকেটের উন্নতি এবং প্রসারের জন্য। সদস্য দেশগুলির মধ্যে একতা গড়ে তোলার জন্য। এসিসি সভাপতি কি কোনও এক তরফা মত দিতে পারেন? এমন হলে তো পাকিস্তানের থাকার কোনও প্রয়োজনই নেই।’’