গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মন্ডল এই মুহূর্তে রয়েছেন আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারের হাসপাতাল ওয়ার্ডে। সেখানকার খাওয়া বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির মুখে আর রুচছে না। শেষে দেশি মুরগি এবং টাটকা পোনা মাছ খাওয়ার আর্জি জানালেন তিনি। কিন্তু জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে, আর পাঁচজন বন্দি যেমন খাবার খান, তেমনই খাদ্যতালিকায় অভ্যস্ত হতে হবে এই তৃণমূল নেতাকে।
সম্প্রতি সিবিআই আধিকারিকরা আসানসোল জেলে গিয়ে অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জেরা চলাকালীনই তিনি কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্তকারী অফিসারদের কাছে এই আবদার করেন। সূত্রের খবর, সিবিআই আধিকারিকরা তাঁর খাওয়াদাওয়া ঠিকমতো হচ্ছে কিনা, খোঁজখবর নেন। জবাবে কেষ্ট জানান চালানি মাছ খাচ্ছেন। খেয়ে নিচ্ছেন ঠিকই তবে তাতে একটু সমস্যা হচ্ছে। কারণ, ঘন ঘন লম্বা লম্বা ঢেঁকুর উঠছে।
তাই সেই সমস্যা দূর করতে টাটকা মাছ এবং দেশি মুরগির আবদার করেন বীরভূমের এই বাহুবলী নেতা। অনুব্রত আরও জানান, আগে খাসির মাংস খেতেন। ফিসচুলার সমস্যা হওয়ার পর থেকে আর খাসির মাংস খান না। জেল সূত্রে খবর, সেখানে প্রাতঃরাশে প্রত্যেক কয়েদিকে মুড়ি, চিঁড়ে ও ছাতু দেওয়া হয়। এছাড়া সপ্তাহে দু-তিনদিন ডিম, মাছ এবং মুরগির মাংস দেওয়া হয় সকলকে।
জেল হেফাজতের শুরুর দিকে খবার নিয়ে কোনও বায়না ছিল না এই তৃণমূল নেতার। তবে ইদানীং তাঁর আবদার বেড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই আরজি অনুযায়ী প্রাতঃরাশে অনুব্রতকে রুটি ও তরকারি দেওয়া হচ্ছে। তবে সব সময় কয়েদির সব আবদার যে রাখা সম্ভব নয়, তা জেল কর্তৃপক্ষ সাফ জানিয়ে দিয়েছে। আর পাঁচজন বন্দি যেমন খাবারদাবার খান এবং সর্বোপরি তাঁর চিকিৎসকরা যা দিতে বলেছেন সেই অনুযায়ী খাবারদাবার খেতে হবে অনুব্রতকে।