মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফরে রওনা হলেন। তবে তিনি জানিয়েছেন, দিল্লির সফরে গেলেও তার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে না। মমতা একই সঙ্গে জানিয়েছেন,দিল্লিতে তাঁর সফর চলাকালীনই রাজস্থানের দুই তীর্থ ক্ষেত্র অজমেঢ় এবং পুষ্কর ঘুরে আসবেন তিনি।
লেখো ভারত আগামী বছর জি-২০ সম্মেলনের সভাপতিত্ব করতে চলেছে। সেই উপলক্ষে কেন্দ্রীয় সরকার প্রস্তুতি নিতে ও শুরু করে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর জানিয়েছে মোট ২০০ টি বৈঠক হবে। মোদি যার প্রথম ধাপ হিসাবে দেশের রাজনৈতিক দলগুলির প্রধানদের বৈঠকে ডেকেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে যোগ দিচ্ছে।তবে একই সঙ্গে তিনি বলেছিলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নয় তৃণমূলের প্রধান হিসাবে দিল্লিতে যাবেন তিনি। সেই মতো সোমবার দিল্লি রওনা হন মমতা।
সূত্রের মারফত খবর, প্রথমেই মমতা দিল্লিতে নেমে রাষ্ট্রপতি ভবনে যাবেন। মোদি সেখানেই সোমবার বিকেলে জি-২০ সংক্রান্ত বৈঠক ডেকেছেন।বৈঠকে মোদী-মমতার সাক্ষাৎ হওয়ার কথা। তবে বৈঠকের বাইরে দু’জনের ব্যক্তিগত বৈঠক হবে কি না, সে দিকে নজর ছিল রাজনৈতিক বৃত্তের অনেকেরই। মমতা অবশ্য সোমবার সকালে স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে মোদীর আলাদা করে বৈঠক হবে না।
সময় পেলে রাজস্থানের অজমেঢ় এবং পুষ্কর যেতে পারেন বলে নিজেই উল্লেখ করেছেন তৃণমূল নেত্রী। বলেছিলেন, ‘‘রেলমন্ত্রী থাকাকালীন এই দুই ধর্মস্থানেই বিশেষ রেল পরিষেবার ব্যবস্থা করেছিলাম। বহু দিন ধরেই যাওয়ার ইচ্ছে ছিল। সময় পেলে যাব।’’ সূত্রের খবর, পুষ্করের ব্রহ্ম মন্দিরে পুজো দেবেন মমতা। সেই মতো প্রস্তুতিও শুরু করেছে রাজস্থানের কংগ্রেস সরকার। অজমেঢ় দরগাতেও দর্শনে যাবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার বিমানবন্দরে দিল্লি রওনা হওয়ার আগে তা জানিয়ে মমতা বলেন, ‘‘এর সঙ্গে ধর্মের কোনও যোগ নেই। অজমেঢ় দরগা থেকে কয়েকজন প্রতিনিধি এসেছিলেন আমার কাছে। তাই রাজস্থানে যাচ্ছি যখন, তখন আমিও ওখানে যাব বলে ঠিক করেছি।’’ তবে মঙ্গলবার রাজস্থানে গেলেও ওই দিনই ফের দিল্লিতে ফিরে আসার কথা মমতার। সূত্রের খবর, রাজধানীতে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন তিনি। বুধবার দলের সাংসদদের সঙ্গেও বৈঠক করতে পারেন মমতা।