ফের একবার শিরোনামে দিলীপ ঘোষ। প্রায়ই শাসক দলকে নিয়ে একাধিক বেফাঁস মন্তব্য করে সমালোচিত হন এই বিজেপি নেতা। এবার বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের আক্রমণ মাত্রাতিরিক্ত পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে। এবার সমাজের মহিলা এবং তৃতীয় লিঙ্গকে নিয়ে অপমানজনক মন্তব্য করে বসলেন দিলীপবাবু, যা নিয়ে ইতিমধ্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে সর্বত্র।
সম্প্রতি বজবজ ২ নম্বর ব্লকের সহ-সভাপতি দিলীপবাবুর উদ্দেশ্যে কটাক্ষ করে বলেন, “উনি সোজা হয়ে আসলেও শুয়ে বেরোবেন।” এর জবাব দিতে গিয়েই মহিলা ও তৃতীয় লিঙ্গকে আক্রমণ করে বসেন এই বিজেপি নেতা। বিজেপি সাংসদ বলেন, “মহিলাদের সঙ্গেই থাকুন কাপুরুষরা, হিজড়ারা মহিলাদের সঙ্গে সুরক্ষিত মনে করে নিজেদের। আমার সামনে আসলে বুকের উপর পা দিয়ে চলে যাব।” দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের পরেই তাঁকে নিয়ে ফের সমালোচনা শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, অতীতেও একাধিকবার ঘাসফুল শিবিরকে আক্রমণ করেছেন তিনি। নদিয়ায় তৃণমূল নেতার ওপর হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তৃণমূলের ভিতর দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে। এতদিন দিল্লি থেকে টাকা আসছিল, দুর্নীতি হচ্ছিল; তাই কোনরকম সমস্যা দেখা যায়নি। বর্তমানে টাকা থেকে কাটমানি, সব কমে যাওয়ায় দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। কলকাতার পাশাপাশি একাধিক স্থানে গুলি চলছে। মারা যাচ্ছে সাধারণ মানুষ। বাংলাকে ডুবিয়ে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।”
পাশাপাশি বউবাজারে মেট্রোরেল বিপর্যয় প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর পদক্ষেপ প্রসঙ্গে দিলীপবাবু বলেন, “আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করার মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী পাপের প্রায়শ্চিত্ত করছেন। তবে এ ঘটনার স্থায়ী সমাধান চাই। যারা বিশেষজ্ঞ রয়েছেন, তাদেরকে সমস্যার সমাধান করতে হবে। না হলে যেভাবে অসংখ্য মানুষ বিপদে পড়েছেন, তা অনুচিত।”
এরপর অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে ইডির দিল্লিতে তলব করা প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ বলেন, “শেষ পর্যন্ত বাবার কাছে পৌঁছে যেতে হবে। এর আগে অনেককে জেরার জন্য দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে। যারা দুর্নীতিতে জড়িত রয়েছে ,তারা শাস্তি পাবে।”
তাছাড়া তৃণমূলের অন্দরে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম তাপস রায়ের দ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “সমস্যাটা কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে, ভাবুন। দলের ভিতর গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব চরমে। যারা একদম জন্ম লগ্ন থেকে তৃণমূলে রয়েছে, দিদির কাছের মানুষ, তারা একে অপরকে গালিগালাজ দিয়ে চলেছে। সমালোচনায় সরব সকলে। এভাবে পার্টি কখনোই চলে না।”