হুগলির জাঙ্গিপাড়ায় নিখোঁজ নাবালিকার রহস্যমৃত্যু নিয়ে উত্তাল পরিস্থিতি। কংগ্রেস নেতারা মৃত নাবালিকার বাড়ি যেতে চাইলে বাঁধা দেয় স্থানীয়রা। তৃণমূলের বক্তব্য, নাবালিকার মৃত্যু নিয়ে কোনো কুৎসার রাজনীতি চায় না মানুষ। অন্যদিকে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের আশঙ্কা প্রকাশ বিজেপি নেত্রী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালের।
মৃত নাবালিকার পরিবারের দাবি, দশমীর দিন সাইকেল নিয়ে বেরিয়েছিল ১২ বছরের বালিকা। তারপর নিরুদ্দেশ হয়ে যায় সে। এরপর তার মৃত দেহ উদ্ধার হয়। তবে তার সাইকেলের খোঁজ মেলেনি। পুলিশ সূত্রে খবর, যেখান থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেখানে তথ্য প্রমাণের জন্য তল্লাশি শুরু হয়েছে। আজ সকাল থেকে আশপাশের জলাশয়ে ডুবুরি নামিয়ে সাইকেলের খোঁজ চালাচ্ছে হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশ। এছাড়া ড্রোন উড়িয়েও চলছে তল্লাশি।
পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে নাবালিকার মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এদিন নাবালিকার দেহ উদ্ধারের সময় ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে। ঘটনাস্থলে প্রথমে যান কংগ্রেসের নেতৃত্ব। কিন্তু নাবালিকার বাড়িতে যাওয়ার আগেই তাঁদের বাধা দেয় এলাকাবাসীরা। রুখে দাঁড়ান গ্রামবাসীরা। রীতিমতো তেড়ে যান তাঁরা। স্থানীয়দের সাফ কথা, এই মৃত্যু নিয়ে কোনওরকম রাজনীতি চান না তাঁরা। বাধার মুখে শেষপর্যন্ত পড়ে কংগ্রেস নেতারা ফিরে আসেন।
এক গ্রামবাসীর কথায়, “আমরা কোনও রাজনীতি চাই না। এসপি এই কেসের দায়িত্ব নিয়েছেন। উনিই দেখছেন।” এবিষয়ে বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল বলেন, “পুলিশ যা বলছে তা মানা যায় না। পুলিশ বলছে আরও ৪৮ ঘণ্টা সময় দিতে হবে। দশমীতেই পরিবার জানিয়েছে, মেয়েটি নিখোঁজ। সেই সময় খোঁজ নেওয়া শুরু করলে আজ হয়ত মেয়েটি বেঁচে থাকত। আইনি লড়াইয়ে পাশে থাকতে চাইছি পরিবারের। কিন্তু যেতে বাধা দিচ্ছে পুলিশ।”
এ প্রসঙ্গে রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী তথা জাঙ্গিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, “বিরোধীরা আন্দোলন করবে, শাসক দলের ভুল থাকলে তা বলবে, গঠনমূলক সমালোচনা করবে, পরামর্শ দেবে সেটা স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু এরাজ্যের বিরোধী দলগুলির কাজ অপপ্রচার, কুৎসা করা। তাই তাদের কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই।”