বন্দে ভারত এক্সপ্রেস নিয়ে সমালোচনা বেড়েই চলেছ। এমননিতেই গত দু’দিন যাবৎ পরপর মোষ এবং গরুর মত গবাদি পশুর সাথে ধাক্কা লাগায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বন্দে ভারত। এরপর ওই ট্রেন নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এমতাবস্থায় ফের একবার খবরের শিরোনামে উঠে এল এই সেমি হাই-স্পিড ট্রেন।
শনিবার বিয়ারিংয়ে ত্রুটির কারণে চাকা জ্যাম হয়ে যায় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের। মূলত, নিউ দিল্লি-বেনারস রুটে চলা বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে (ট্রেন নম্বর ২২৪৩৬) এই প্রযুক্তিগত ত্রুটি সামনে এসেছে। এই সমস্যার কারণে চরম সমস্যায় পড়তে হয় যাত্রীদের। জানা গিয়েছে, উত্তর-মধ্য রেলওয়ের ডানকৌর এবং ভাইর স্টেশনের মধ্যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সি-৮ কোচের ট্র্যাকশন মোটরে একটি বিয়ারিংজনিত ত্রুটি দেখা যায়।
এমতাবস্থায়, খুর্জা স্টেশনে শতাব্দী ট্রেন মারফত যাত্রীদেরকে বেনারসে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। স্বাভাবিকভাবেই, একারণে এই সেমি হাই-স্পিড ট্রেনটি তার নির্ধারিত সময়ের থেকে অনেক দেরিতে চলছে। ট্রেনে প্রযুক্তিগত ত্রুটির খবর পেয়ে এডিআরএম দিল্লি তার দল নিয়ে ট্রেনটি পরিদর্শন করেন। এরপরে এনসিআর টিমের সহায়তায় বিয়ারিং জ্যাম ঠিক করা হয়।
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে, ট্রেনটিকে ২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার সীমিত গতিতে খুর্জা স্টেশনে নিয়ে আসা হয়। সাপোর্টিং ইঞ্জিনের সাহায্যে বন্দে ভারতকে ভাইর থেকে খুর্জা স্টেশনে নিয়ে আসা হয়। সেখানে প্রথমে প্রযুক্তিগত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হয়। যাত্রীদের সময়ের কথা ভেবে ট্রেন থেকে তাঁদের নামিয়ে দিল্লি থেকে তাঁদের জন্য স্পেশাল শতাব্দী এক্সপ্রেসের ব্যবস্থা করা হয়।
পাশাপাশি, শতাব্দী এক্সপ্রেস মারফত যাত্রীদের বেনারসে পাঠানো হয়। অন্যদিকে বন্দে ভারতের ত্রুটি সংশোধনের জন্য সেটিকে দিল্লিতে ফেরত পাঠানো হয়। এ প্রসঙ্গে খুর্জা জংশনের এসএসই ভি কে মীনা জানিয়েছেন যে, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে বৈদ্যুতিক সমস্যা ছিল। সেটির অ্যাক্সেল বক্সের উপরে একটি ট্র্যাকশন মোটর মাউন্ট করা আছে। সেই মোটরটি সিজ হয়ে যাওয়ার কারণে তা ব্রেক হয়ে গেছে।