কলকাতায় আদিবাসী সম্প্রদায়ের মিছিল! শুক্রবার সকাল সকাল লাল সবুজ পতাকা হাতে মিছিলে নামেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষরা। যার জেরে স্তব্ধ হয়ে যায় গোটা মধ্য কলকাতা সহ হাওড়া ব্রিজ। রাস্তায় একের পর এক গাড়ি শুধু দাঁড়িয়ে পরে। কিন্তু কেন কলকাতায় মিছিলে নেমেছেন তাঁরা?
হাওড়া স্টেশন থেকে বেরিয়ে কলকাতায় আসার প্রধান মাধ্যম হল হাওড়া ব্রিজ। সেই ব্রিজেই প্রতিবাদ মিছিলে নামেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষরা। এরপরে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় গোটা হাওড়া ব্রিজে। এরপর সেই যানজট বেড়ে গিয়ে পৌঁছায় এমজি রোড, উত্তর কলকাতামুখী সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট, গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ, ধর্মতলা চত্বর-সহ প্রায় গোটা মধ্য কলকাতায়।
জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের আদিবাসী সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পরগণা মহলের নেতৃত্বে আজ কলকাতায় এই প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। তাদের দেবতা মারানবুড়ুর উপাসনা স্থল হলো পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়। অভিযোগ এই অযোধ্যা পাহাড়ে তাদের দেবতার উপাসনা স্থল ভেঙে দেওয়ার কাজ চলছে। এরই প্রতিবাদে আদিবাসী সংগঠন শুক্রবার সকালে ডেপুটেশন জমা দিতে আসেন হাওড়া স্টেশনে। তাদের লক্ষ্য ছিল মিছিল করে রানী রাসমণি রোডে গিয়ে ডেপুটেশন জমা দেওয়া।
সূত্রের খবর, পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের উপর আদিবাসীদের দেবতা মারানবুড়ুর উপাসনা স্থানে তৈরি করা হচ্ছে টুরগা পাম্প স্টোরেজ প্রজেক্ট । এই কাজ চলার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উপাসনা স্থল। এরই প্রতিবাদে আদিবাসী সম্প্রদায় আজ শহরে এসে ডেপুটেশন জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
তবে এই ঘটনা ছাড়াও বেশ কিছুদিন ধরে অন্য একটি আদিবাসী সংগঠনের প্রতিবাদের কারণে নিত্যদিন বাতিল হচ্ছে বিভিন্ন শাখার ট্রেন। কুড়মি জনগোষ্ঠীর ওই আদিবাসী সম্প্রদায় প্রতিবাদ চালাচ্ছেন তাদের জনগোষ্ঠীকে উপজাতি তালিকাভুক্ত করার জন্য। পাশাপাশি তাদের কুড়মালি ভাষাকে পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিও উঠেছে।