এমনিতেই ডেঙ্গুর বাড়বাড়ন্ত। তার উপর হানা দিয়েছে এক অজানা জ্বরে। শ্রীরামপুরে এই অজানা জ্বরে মৃত্যু হয়েছে এক নার্সিং স্টাফের। মৃতের নাম বিন মিত্র(২৩)। ডানকুনির বাসিন্দা ওই নার্স শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মরত ছিলেন। বুধবার তার মৃত্যু হয়।
হুগলি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারীক রমা ভুঁইয়া জানান, অজানা এক জ্বরে মৃত্যু হয়েছে নার্সের। জ্বর ছিল তার। ডেঙ্গু পরীক্ষায় এন এস -১ নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। আরো সব পরীক্ষার রিপোর্ট আসার আগেই মৃত্যু হয় ওই নার্সের। রমা দেবী বলেন,এই সময় ডেঙ্গু বাড়ছে। তাই জ্বর হলেই অনেকে মনে করছে ডেঙ্গু হয়েছে।
কিন্তু দেখা গিয়েছে এনসেফালাইটিস, চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়াও হতে পারে। তাই জ্বর হলে একেবারেই ফেলে রাখা যাবে না। জেলার ১৮ টা ব্লক হাসপাতাল ও ৫ টা বড় হাসপাতালে আলাদা করে ফিভার ক্লিনিক খোলা হয়েছে। জ্বর হলে দ্রুত রোগীর চিকিৎসা করতে হবে।
মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, গতকাল শ্রীরামপুর মহকুমা দপ্তরে ডেঙ্গু নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ে বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম,জেলাশাসক পি দীপাপ প্রিয়া,সহ প্রশাসনিক কর্তারা। বৈঠকে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রতি সপ্তাহে ক্রমাগত কেস বাড়ছে। এমতাবস্থায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়,পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন নিয়ে স্পেশ্যাল ড্রাইভ নেওয়া হবে।
যে সব এলকায় অতিদ্রুত ডেঙ্গু ছড়াচ্ছে, সেই সব জায়গায় দুটি পর্যায়ে পরিচ্ছন্নতার অভিযান করতে হবে। প্রথমত লার্ভা রোখার চেষ্টা করা হবে। পুজোর আগে ২২শে সেপ্টেম্বর থেকে ২৯শে সেপ্টেম্বর অবধি ও ও দ্বিতীয় পর্যায়ে পুজোর পর ১১ই অক্টোবর থেকে ১৮ই অক্টোবর অবধি। কোথায় কোথায় দ্রুত ছড়াচ্ছে সেই সব ওয়ার্ড ও গ্রামপঞ্চায়েত এলাকা গুলো কে চিহ্নিত করে দেওয়া হচ্ছে।
পুজোর সময় বহু চায়ের ভাঁড় ও নারকেল খোল পড়ে থাকে, সেই সব পরিষ্কার করলে পুজোর পরে প্রকোপ রোখা যাবে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতাল সহ চন্দননগর, শ্রীরামপুর, আরামবাগ মহকুমা ও উত্তরপাড়া স্টেট জেনেরাল হাসপাতালে ২৪ ঘন্টাই ল্যাব খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে। যাতে ২৪ঘন্টার মধ্যে টেস্ট ও ৪ ঘন্টার মধ্যে রিপোর্ট পেয়ে দ্রুত চিকিৎসা করা সম্ভব হয়।