শনিবার কলকাতা মেডিক্যালে আহত বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। কলকাতায় এসেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘গুলি’ মন্তব্যকে হাতিয়ার করল বিজেপির কেন্দ্রীয় দল। “মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপোর কথায় ক্ষমতার দম্ভ প্রকাশ পাচ্ছে”, বলে সুর চড়ান ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের অন্যতম সদস্য ব্রিজ লাল। এছাড়া আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে শিক্ষা দেওয়ারও হুঙ্কার দেন তিনি।
গত মঙ্গলবার বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের হাতে আক্রান্ত হন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে দেখতে বুধবার এসএসকেএম হাসপাতালে পৌঁছন অভিষেক। সেখান থেকে বেরিয়ে অভিষেক বলেন, “আমি দেবজিৎবাবুকে বললাম, আপনার জায়গায় যদি আমি থাকতাম, আমার সামনে পুলিশের গাড়িতে আগুন জ্বালানো হতো, এরকম হামলা হতো, তাহলে আমি (কপালে আঙুল ঠেকিয়ে) এখানে শ্যুট করতাম, মাথার উপরে।” এরপরই তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে শুরু হয় তীব্র সমালোচনা।
বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “বাংলার তথাকথিত যুবরাজ, তিনি আগামী দিনে যেটা তৈরি করবেন, সেই তৃণমূলের পুলিশ মানুষের মাথা লক্ষ্য করে, কপাল লক্ষ্য করে গুলি করবে। তিনি তার আভাস দিয়েছেন। ট্রিগার হ্যাপি পুলিশ এটাকে ইংরেজিতে বলা হয়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী দিনে ট্রিগার হ্যাপি পুলিশ বাংলাকে উপহার দেবেন।”
বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, “বাঁশের চেয়ে কঞ্চির দর বেশি। উনি কি আজকাল বন্দুক নিয়ে ঘোরেন? তাহলে গুলি করার কথা বলেন কীভাবে? এই পুলিশ ভবানীপুর থানায় টেবিলের তলায়, আলমারির পিছনে লুকিয়ে পড়ে। ফালতু বকওয়াস করবেন না। আপনাদের দম জানা আছে। এত লুঠপাট, কারুর টিকির নাগাল পেয়েছেন? গুলি চালাবেন? এত হিম্মত? কালীঘাটে ডায়লগ দেবেন। বাইরে আসবেন না।”
এরপর একই সুরে আওয়াজ তোলেন ব্রিজ লালও। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো বলেছেন, মাথায় গুলি করতেন। মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপোর কথায় ক্ষমতার দম্ভ প্রকাশ পাচ্ছে। উপরতলার নির্দেশেই বিজেপির উপর অত্যাচার পুলিশের। বিজেপি কর্মীদের নির্যাতনে তিনিই পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। বাংলায় জঙ্গলরাজ চলছে। ২০২৪-এর ভোটে শিক্ষা দেব।”