Advertisement
অফবিট

পর্যটকদের কাছে শেষ স্বর্গ নাম পরিচিত এই স্থান, মালদ্বীপ কেও পিছনে ফেলে দিচ্ছে এই জায়গা

সিএনএন প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুসারে ইতিহাস প্রেমী ম্যাক্স এমার এবং এবং ডাচ ম্যান পৃথিবীর শেষ শেষ স্বর্গ অর্থাৎ ইন্দোনেশিয়ার রাজা আম্পত দ্বীপ আবিষ্কার করেছিলেন। ম্যাক্স তার বাড়ি ওয়ালার কাছ থেকে প্রথম এই দ্বীপের সম্পর্কে জেনেছিলেন। এরপর তিনি এই দ্বীপ খোঁজা শুরু করেন। প্রায় চার মাস ধরে বিভিন্ন জেলেদের সাহায্য নিয়ে তিনি শেষ পর্যন্ত এই দ্বীপ খুঁজে পান।

পশ্চিম পাপুয়া দ্বীপের কাছে প্রবাল ত্রিভুজের কেন্দ্রে ইন্দোনেশিয়ার একটি অংশ এই রাজা আম্পাট দ্বীপ অবস্থিত। 40 লাখ হেক্টর জুড়ে সমুদ্র দ্বারা সুরক্ষিত এই স্থানটি জীব বৈচিত্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ স্থান হলেও দূরত্বের জন্য বেশিরভাগ পর্যটক এইখানে পৌঁছাতে পারেন না। এই পর্যটন কেন্দ্র এত সুন্দর এবং এত দূরে অবস্থিত বলে এটিকে পৃথিবীর শেষ স্বর্গ বলা হয়।

এইখানে 1600 প্রজাতির মাছ ও পৃথিবীর মোট প্রবালের 75 শতাংশ পাওয়া যায়। এই প্রবালগুলি সুন্দর সুন্দর বাগানের সৃষ্টি করেছে এবং এই দ্বীপের দৃশ্যকে করে তুলেছে অবিশ্বাস্যভাবে সুন্দর। রাজা আম্পাট দ্বীপের আবিষ্কর্তা ম্যাক্স বলেছেন যে এই স্থানের সৌন্দর্য্য এতটাই বেশি যে কোনো পর্যটকই মানসিক ভাবে ক্লান্ত হবেন না। বলা বাহুল্য, একসময় এই স্থান অস্তিত্বের চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল।

ব্যাপক সংখ্যক বাণিজ্যিক কার্যক্রম এবং অনিয়ন্ত্রিত মাছ ধরা এই স্থানের জীব বৈচিত্র্যকে শেষ করে দিচ্ছিল। তারপর 2004 সালে এই দ্বীপটিকে পশ্চিম পাপুয়া হেড সিস্কেপের উদ্যোগে যুক্ত করে সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যার ফলে এইখানকার জীব বৈচিত্র্য রক্ষা পায়। রাজা আম্পাটের সবুজ সমারোহ পর্যটকদের মুগ্ধ করে। পর্যটকরা এইখানে ডাইভিং করতে এবং সি ফুড খেতে খুব পছন্দ করেন। অনেকেই এই দ্বীপের সৌন্দর্য্যকে তুলনা করেছেন মালদ্বীপের সাথে। তবে এই দ্বীপের দূরত্ব এতটাই বেশি যে খুব কম পর্যটকই এইখানে পৌঁছাতে পারেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Adblock Detected

Please Turn Off Your Ad Blocker.