হরিদ্বার বারাণসীর গঙ্গা আরতি পৃথিবীখ্যাত। এখন বাংলার মানুষকে গঙ্গা আরতি দেখবার জন্য এতটা দূরে বারাণসীতে যেয়ে হবে না। এবার এই ধাঁচেই গঙ্গা আরতি দেখা যাবে হাওড়ায়। আগামী দিনে গঙ্গাবক্ষে নৌকায় করেই এই আরতি দেখা যাবে। বুধবার রাতে গণেশ চতুর্থীর পুণ্য তিথিতে বালির কেদারঘাটে এই গঙ্গা আরতির শুভ সূচনা হয়।
সেখানকার বিধায়ক ডাঃ রাণা চট্টোপাধ্যায়ের আশা বালির কেদারঘাটের এই গঙ্গা আরতি ভবিষ্যতে রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রেও একটা জায়গা করে নেবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রতি সপ্তাহে একদিন করে এই গঙ্গা আরতি হবে। বালির “বন্ধুদের মিলিত স্পর্শ” সংস্থার তরফ থেকে এই গঙ্গা আরতির আয়োজন করা হয়।
বিধায়ক এবিষয়ে বলেন, “কথায় আছে, গঙ্গার পশ্চিম কুল, বারাণসীর সমতুল। হরিদ্বার এবং বেনারসের অনুকরণে বালিতেও শুরু হলো গঙ্গা আরতি। প্রতি সপ্তাহে একদিন করে এই গঙ্গা আরতি হবে। প্রথম দিনেই স্থানীয় মানুষের ভালো সাড়া পাওয়া গেছে। এ এক অভূতপূর্ব আয়োজন। আমি ভীষণ খুশি।”
তাঁর সংযোগ, “আমরা আশা করব আগামী দিনে এই গঙ্গা আরতি এক অন্য মাত্রায় পৌঁছবে। ভবিষ্যতে রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে এটা জায়গা করে নেবে। যাতে করে মানুষ নৌকায় আরতি দেখতে আসবেন। আরতি মানে শুধু ভক্তি বা ধর্ম নয়, এর মাধ্যমে মানুষের মহামিলনে সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হবে।”