এই মুহূর্তে বিভিন্ন দুর্নীতি মামলায় কোণঠাসা হয়ে পড়েছে শাসক দল। তার উপর গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব তো রয়েছেই। এবার সেই ধারা বজায় রেখেই শীর্ষ নেতৃত্বকে হুঁশিয়ারি দিয়ে কড়া বার্তা দিলেন তৃণমূল নেতা তথা গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।
সাম্প্রতিককালে গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর ঘনিষ্ঠকে বাদ দিয়ে এলাকায় ব্লক সভাপতি করা হয় অন্য এক তৃণমূল নেতাকে। আর তারপরই গত বুধবার একটি ভিডিওতে দলের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে বার্তা দেন সিদ্দিকুল্লা। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তা আছে। উঠতি যুবক অভিষেক। তবে আমারও ক্রেজ হয়েছে। গোটা বাংলা জুড়ে সেই ক্রেজ বজায় রয়েছে। আমি না থাকলে মন্তেশ্বর এলাকার পরিস্থিতি কি হবে, তা বলা যায় না।”
নয়া ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে একের পর এক কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক। তিনি বলেন, “আমি উপস্থিত ছিলাম না আর তার সুযোগ নিয়ে আমাকে অপমান করেছেন। তা না হলেও পারতো। বাকি ২৯৩ সিটে আমি নাক গলাতে যাই না, কিন্তু আমার কেন্দ্রে কে কি করছে, সেই প্রসঙ্গে বলা উচিত নয়। প্রয়োজনে আমি অন্য পথ অবলম্বন করতে পারি, রাস্তা খোলা রয়েছে। আমার হাতে যে পরিমাণ ভোট থাকে, তা বাংলায় অন্য কোন মুসলিম নেতার হাতে নেই। তাই আমাদের সম্মান দিন।”
পরবর্তীতে সিদ্দিকুল্লা আরও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতার জনপ্রিয়তা রয়েছে। অভিষেক উঠতি মুখ। তবে গোটা বাংলায় আমার নামে ক্রেজ রয়েছে। বিধানসভায় বর্ধমানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোটে জয়ী হয়েছি। অনেকেই আমার নামে কুৎসা রটিয়ে চলার চেষ্টা করে চলেছে। তবে এতে কোন লাভ হবে না।”
সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাকে যথেষ্ট সম্মান করেন। ওই জন্যই ওকে মন্ত্রী করা হয়েছে। তাছাড়া আমরা কখনোই ধর্মের রাজনীতি করি না। কন্যাশ্রী থেকে লক্ষ্মী ভান্ডারের মাধ্যমে সকলকে সুবিধা প্রদান এবং সমান অধিকারের রাজনীতি আমাদের লক্ষ্য।”