মমতার পথেই হাঁটতে চলেছেন পিনারাই বিজয়ন। একসময় তৃণমূল সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে বাংলায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছিল। এবার শিক্ষা ক্ষেত্রের নানা বিষয় ঘিরে কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানের সঙ্গে বিজয়ন সরকারের সংঘাত। একারণে আচার্য হিসেবে রাজ্যপালের ক্ষমতা খর্ব করতে চলেছে বিজয়নের কেরল।
কেরলের রাজ্যপাল আরিফ কালিকট, কান্নুর ও সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে সরকারের পছন্দের নামে আপত্তি তুলেছেন। কখনও অধ্যাপক নিয়োগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেটের সিদ্ধান্ত আটকে দিয়েছেন, আবার কখনও প্রতিনিধির নাম ছাড়াই উপাচার্য নিয়োগের জন্য সার্চ কমিটি ঘোষণা করে দিয়েছেন। এসব কারণেই আইন সংশোধন করে আচার্য হিসেবে রাজ্যপালের ক্ষমতা ছেঁটে দিতে চাইছে কেরল সরকার।
কেরলের বিধানসভায় এখনও প্রস্তাবিত সংশোধনী বিলটি পেশ হয়নি। তবে রাজ্য মন্ত্রিসভায় আলোচনা করে বিলের খসড়া তৈরি হয়েছে। সূত্রের খবর, উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে সার্চ কমিটিতে এবার থেকে তিন জনের পরিবর্তে পাঁচ জনের থাকার ব্যবস্থা করা হবে। রাজ্যপাল, বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইউজিসি-র প্রতিনিধি ছাড়াও আরও দু’জন থাকবেন এই সার্চ কমিটিতে।
এবিষয়ে উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী আর বিন্দুর মত, ‘‘এটা সরকারি নিয়ন্ত্রণের প্রশ্ন নয়। সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতায় দেখা যাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে অচলাবস্থা তৈরি হচ্ছে। সার্চ কমিটিতে তিন জন প্রতিনিধির সঙ্গে শিক্ষা জগতের আরও দু’জনকে রাখার প্রস্তাব দিয়েছিল উচ্চ শিক্ষায় সংস্কার আনার লক্ষ্যে গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি। সেই প্রস্তাবই বিবেচনা করা হচ্ছে।”
রাজ্যপাল আরিফও বলে দিয়েছেন ‘‘নিয়মের বাইরে কিছু হতে দেব না। কোন বিল সই করব, রাজ্যপাল হিসেবে সেটাও বিবেচনা করব!’’ কেরলের শাসক ফ্রন্ট এলডিএফের আহ্বায়ক ই পি জয়রাজন বলেছেন, ‘‘রাজ্যপাল তাঁর ভাষণ ও আচরণেই বুঝিয়ে দিচ্ছেন, রাজভবনকে তিনি আরএসএসের আস্তাবলে পরিণত করছেন!’’