প্রতি বছরের মতো এবছরও মহাষ্টমীর সকালে বেলুড় মঠে কুমারী পূজা সম্পন্ন হলো। মহাষ্টমীর সকালে বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সকালে প্রথমে অষ্টমী বিহিত পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর চিরাচরিত রীতি মেনেই শুরু হয় কুমারী পূজা।
গত দুবছর করোনা অতিমারীর কারণে কুমারী পূজায় দর্শনার্থীদের প্রবেশাধিকার নিষেধ ছিল। তবে এখন আর সেই পরিস্থিতি নেই। তাই এবার বেলুড়-এ কুমারী পূজা দেখতে হাজির হন হাজার হাজার মানুষ। স্বামী বিবেকানন্দ ১৯০১ সালে বেলুড় মঠে কুমারী পূজা শুরু করেছিলেন। সেই রীতি মেনেই মঠের সন্ন্যাসীরা মহাষ্টমীর দিন কুমারীকে দেবী হিসেবে উপাসনা করেন। তিনি উমা রূপে পূজিত হন
এবার কুমারী পূজায় কুমারী হিসেবে নির্বাচিত হন হুগলির কোন্নগরের বাসিন্দা আরাত্রিকা রায়। বাবা কল্যাণ রায় এবং মা বাসন্তী রায়। মঠ সূত্রে খবর, কুমারীর বয়স ৫ বছর ২ মাস।
শ্রীশ্রীঠাকুরের মতে, অল্পবয়সী মেয়েরা যখন কুমারী থাকে সেই বয়সে জগতের নেতিবাচক শক্তি থেকে তারা দূরে থাকেন। তখনই তাদের মধ্যে মাতৃভাবনা প্রকাশ পায়। ১ থেকে ১৬ বছর বয়সী বালিকাকেই কুমারী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়ে থাকে। প্রতিমাকে জীবন্ত বিগ্রহরূপে পুজো করা হয়। এদিন কুমারী পূজায় উপস্থিত ছিলেন মঠের সংঘাধ্যক্ষ মহারাজ সহ বরিষ্ঠ সন্ন্যাসীরাও।