আজ (বৃহস্পতিবার) রেড রোডে দিদির পাশে দাদা। এদিন মিছিলে সকলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন উপস্থিতও ছিলেন বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি। তাদের মধ্যেই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় উপস্থিত থেকে পুজোর উৎসবে বাড়তি আনন্দ যোগ করলেন।
বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতির জন্য ইউনেসকোকে ধন্যবাদ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এই মিছিলে নেতা-মন্ত্রী, টেলিতারকারা যে যোগ দেবেন, তা এক প্রকার প্রত্যাশিতই ছিল। কিন্তু বিসিসিআই সভাপতি সৌরভের উপস্থিতি অবশ্য বড় চমক। বাঙালির কাছে বড় প্রাপ্তিও। জোড়াসাঁকো থেকে রেড রোড পর্যন্ত বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার শেষে মঞ্চে তখন বাজছে, ‘এসো, এসো আমার ঘরে এসো’। ইউনেসকোর প্রতিনিধি দলের সদস্য টিমোথি কার্টিস, এরিক ফল্টকে গলায় উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করে নেন মুখ্যমন্ত্রী।
তাঁর হাতে তুলে দেন ডোকরার দুর্গামূর্তি আর অ্যালবাম। পাশেই দাঁড়িয়ে মহারাজ। মঞ্চে ছিলেন তাঁর দাদা তথা সিএবি সচিব স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ও। এর পর মুখ্যমন্ত্রীর গলাতে উত্তরীয় পরিয়ে দেন সৌরভ। মমতাও দাদার গলায় জড়িয়ে দেন শাল। পরে বক্তৃতা দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘সৌরভ আমার ছোট ভাইয়ের মতো। ওকে আমি অত্যন্ত স্নেহ করি। ও যে এত ব্যস্ততার মধ্যেও সময় করে এখানে আসতে পেরেছে, তার জন্য ওকে ধন্যবাদ।’’
এরপর তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব মমতা মঞ্চে একে একে ডেকে নেন মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল এবং মহামেডান ক্লাবের কর্তাদেরও। তাঁদের গলায় উত্তরীয় পরিয়ে হাতে ফাইবারের দুর্গামূর্তি তুলে দেন দিদি এবং দাদা। এদিন ইউনেসকো প্রতিনিধি দলের সদস্যদের পাশাপাশি মমতা উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করে নেন তপতী গুহঠাকুরতাকে। ইউনেসকোর স্বীকৃতি পাওয়ার নেপথ্যে বড় অবদান রয়েছে এই শিক্ষিকার।
সৌরভ বক্তৃতা করতে দিতে উঠে বলেন, ‘‘সম্ভাষণটা বাংলায় করলাম। বাকিটা ইংরেজিতে বলছি। মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। বিধায়ক, মেয়রকে ধন্যবাদ জানাব। আমাদের জন্য দুর্গাপুজো কী, তা কল্পনার অতীত। সে আপনি বড়লোক হন বা গরিব, ক্ষমতাবান হন বা ক্ষমতাহীন— দুর্গাপুজো সকলের মুখে হাসি আনে। ৭ থেকে ৭০— সকলের মুখে।’’
এর পর সৌরভ ফুটবলের প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘ফ্রান্স থেকে এসেছেন এরিক এবং টিমোথি। ফ্রান্স ফুটবলের দেশ। এই শহরও ফুটবলের। এখানেও রয়েছে মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল। তাই আমন্ত্রণ জানাই, আরও ঘন ঘন আসবেন এই শহরে। আমরা তেমনই আশা রাখি। এই আতিথেয়তা উপভোগ করুন। এই শহর একটা বিশেষ শহর। পুজোর সময় এই শহর পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শহর। সেটা বুঝতে গেলে পুজোর সময় এই শহরে থাকতে হবে।’’