রাজস্থান কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ফের বেআব্রু হয়ে পড়ল। কিছু যুবক হঠাৎই সচিন পাইলটের সমর্থনে স্লোগান দিতে শুরু করেন, রবিবার ভারত জোড়ো যাত্রা যখন মরুরাজ্যের দৌসা অঞ্চল পেরোচ্ছে।“রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে পাইলটকেই চাই” বলে স্লোগান দিতে দিতে এগোতে থাকেন তাঁরা। রবিবার সকালে একটি ভিডিয়ো টুইট করা হয় সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর তরফে।ওই ভিডিয়োয় কিছু যুবককে ‘সচিন পাইলট জিন্দাবাদ’ স্লোগান তুলতে দেখা যায়। রাহুল গান্ধী এবং শীর্ষ কংগ্রেস নেতাদের অনতিদূরেই এই স্লোগান তোলা হচ্ছিল। যদিও আনন্দবাজার অনলাইন এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি।
কংগ্রেসে কিছুদিন আগেই হিমাচল প্রদেশের নতুন মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখুর শপথ অনুষ্ঠানে ‘সুখী’ পরিবারের ছবি দেখা গিয়েছিল।দুই নেতা অশোক গহলৌত এবং সচিন পাইলট অন্দরের বিরোধ ভুলে রাজস্থানে ভারত জোড়ো যাত্রায় রাহুলের পাশে পাশেই হেঁটেছিলেন যুযুধান। কিন্তু এই দুই নেতার বিরোধ রবিবার আবার প্রকাশ্যে চলে এলো।
রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের সঙ্গে কখনওই সুসম্পর্ক ছিল না ‘উদীয়মান নেতা’ সচিনের। মূলত মরুরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়েই দুই নেতার বিরোধের সূত্রপাত। কিছু দিন আগেই একটি সংবাদমাধ্যমে গহলৌত সচিনকে ‘গদ্দার’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। একদা তাঁরই ডেপুটি সচিনের দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহকে নজিরবিহীন বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি। কংগ্রেস শিবির থেকে অবশ্য তড়িঘড়ি এই বিভাজনকে ঢাকার চেষ্টা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, দুই নেতাই দলের জন্য অপরিহার্য।
এখনো পর্যন্ত দলের অধিকাংশ সমর্থকই তার দিকে।কিন্তু গুজরাতে কংগ্রেসের শোচনীয় পরাজয়ের পর তার দায়ভার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা গহলৌতের উপর চাপিয়েছিল পাইলট শিবির। এই আবহেই রবিবারের এই ঘটনা। যাতে কংগ্রেসের অস্বস্তি আরও বাড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে।